ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

পিলখানা হত্যা মামলার রায় আসলেও শেষ হয়নি কার্যক্রম (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কালো দিন। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের এক যুগে হত্যা মামলার রায় আসলেও এখনো শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম। মহামারির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলার কার্যক্রম পিছিয়ে পড়লেও এ বছরই শেষ হওয়ার আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, মামলাটি নির্ভর করছে রাষ্ট্রপক্ষের ওপর। 

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারি তৎকালীন বিডিআরের দরবারের জন্য সাজ সাজ রব। এরই মধ্যে সকাল থেকেই গুলির শব্দে আতঙ্ক। বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য অস্ত্রাগার লুট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। দিনভর আলোচনা চলে আত্মসমর্পণে। 

পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করে তারা।

বিদ্রোহের নামে বিপথগামী বিডিআর সদস্যরা মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়া ১৭ জন বেসামরিক নাগরিককেও হত্যা করে তারা। গুম করতে পিলখানার ভেতরে ও বাইরে সেনা কর্মকর্তাদের লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়।

নির্মম ওই ঘটনার পর দিনই মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর আসে বিডিআর হত্যা মামলার রায়। প্রায় ৮৫০ বিডিআর সদস্যর মধ্যে ৪৫ জন খালাস পেলেও অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। 

তবে এখনও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, দ্রুততার সাথেই মামলাটির কার্যক্রম শেষ করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, পেনডেমিকের কারণে এই মামলার কার্যক্রম একটু পিছিয়ে গেছে এবং অন্যান্য কারণেও পিছিয়েছে। এখন প্রতিমাসেই এই মামলার কার্যক্রম চলছে এবং এই মামলার যারা সাক্ষী আছেন তাদেরকে আমাদের কাছে হাজির করে দিয়েছেন বিজিবি কর্তৃপক্ষ। আমরা মামলার কার্যক্রম এই বছরই শেষ করার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছি।

আর আসামীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষের উপরই নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যত।

আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম সরদার বলেন, প্রসিকিউশন কতগুলো সাক্ষী নিয়ে মামলাটি ক্লোজ করবে সেটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এই মামলাতে যেমন সাড়ে ৪শ’র অধিক সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে, ওখানে কি পরিমাণ সাক্ষী নিয়ে মামলাটি ক্লোজ করবে এটা প্রসিকিউশনের ব্যাপার। তবে প্রসিকিউশন যে কোন সময় মামলা ক্লোজ করে দিতে পারে। 

সাক্ষীর তালিকা লম্বা হলেও সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় পূর্বের মামলার মতোই সাক্ষী আছে। কিন্তু আমরা এতো সাক্ষীর মধ্যে যাবো না। আমরা ভাবছি, আর কিছু সাক্ষী নিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ করবো। তা আনুমানিক শতাধিক বা দেড় শতাধিক হতে পারে।

দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে বহু প্রতিক্ষিত মামলাটির রায় আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/