ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামে কমছে সব ধরণের মাছের দাম (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কমেছে সব ধরনের মাছের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ দেশী মাছ আসায় বাজারে সংকট নেই। এদিকে, ফিশিং বোটগুলোকে প্রতি ট্রিপেই অনুমতি নেয়ার আইন বাতিল না করলে লাখো মৎস্য শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার আশংকা করছেন নেতারা। 

নগরীর সবচেয়ে বড় মাছের বাজার ফিশারীঘাট। ভোর না হতেই বেচাকেনার হাঁকডাকে, ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় মুখর থাকে পুরো এলাকা। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, চাঁদপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এখানে প্রতিদিনই আসে বিপুল পরিমাণ দেশী মাছ। 

আড়তদার, ক্রেতা, বিক্রেতা প্রত্যেকেই বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম নিম্নমুখী। তেলাপিয়া, রুই, কাতল, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশী মাছের দাম কমেছে। তবে বিভিন্ন উৎসবের কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে গলদা চিংড়ির। 

ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার কারণে মাছের দাম খুব সীমাবদ্ধ আছে। সিজন শেষ তো, তাই এখন মাছ একটু কম। আগের বছরে মাছের যেই দর ছিল এবার কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ কমে গেছে।

শীত মৌসুমের কারণে বাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম। ফলে ইলিশ ও রূপচাঁদার মতো অভিজাত মাছের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মানভেদে রূপচাঁদা মাছ ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের কারণে সমুদ্রে মাছ একটু কম। গরম আসলে এবং বৃষ্টি হলে মাছ বেশি ধরা পড়ে। এই সপ্তাহ থেকে রূপচাঁদা মাছের দাম বেড়ে গেছে কিন্তু অন্যান্য মাছের দাম কমছে।

এদিকে সংশোধিত মৎস্য আইন অনুযায়ী প্রতিবছর একবার অনুমতি নেয়ার পরিবর্তে ফিশিং বোটের প্রতি ট্রিপেই অনুমতি নিতে হলে মৎস্যজীবীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা করছেন নেতারা।

সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমিতির পরিচালক মোহাম্মদ কাউছারুজ্জামান বলেন, আমরা অনুমতি নেবো বছরে একবার, তাতে করে আমাদের সুবিধা হবে। যারা মৎস্যের সঙ্গে জড়িত তারা বেকার হয়ে যাবে, যদি এই আইনটা বলবৎ থাকে।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/