খাশোগিকে হত্যা : মার্কিন প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান সৌদির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার
‘সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান’ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে ‘নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য’ মূল্যায়ন বলে উল্লেখ করেছে। খবর রয়টার্স ও খালিজ টাইমসের।
খাশোগি হত্যা নিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের দপ্তর নিজেদের ওয়েবসাইটে চার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দুই বছর আগের আলোচিত খাশোগি হত্যাকাণ্ডে এই প্রথম সরাসরি সৌদি যুবরাজকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ‘তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা বা আটক করার জন্য পরিচালিত অভিযানে অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।’
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন নেতিবাচক, মিথ্যা ও অগ্রহণযোগ্য। প্রতিবেদনে ভুল তথ্য ও সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়টি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, একদল লোক ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং তাতে সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিধি ভঙ্গ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। তবে তাদের সাজা কমিয়ে ৭ থেকে ২০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সৌদি শাসক গোষ্ঠীর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়ে নৃশংসভাবে নিহত হন।
এই হত্যাকাণ্ডের মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি দুই বছর ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ক্ষমতায় এসে তা প্রকাশ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সৌদি আরবের ৭৬ নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সৌদি নাগরিকরা আমেরিকার ভিসা পাবেন না। তবে ক্রাউন প্রিন্সের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি বাইডেন প্রশাসন।
এএইচ/ এসএ/