রাতদুপুরে কানফাটানো গান, এএসপির হস্তক্ষেপে স্বস্তিতে এলাকাবাসী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৬:০৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার
আয়োজকদেরকে বুঝিয়ে গান বাজানো হতে নিবৃত্ত করছেন এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় ১টা। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন মরিয়মনগর এলাকায় এক বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গভীর রাতেও কানফাটানো শব্দে বাজানো হচ্ছিল হিন্দিগান। এলাকবাসীর তরফে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ দেওয়ার পর ১০ মিনিটের মধ্যে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান -রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নিস্তার মেলে এলাকাবাসীর।
এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজকদেরকে বুঝিয়ে গান বাজানো হতে নিবৃত্ত করার পাশাপাশি অভ্যাগতদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর চট্টগ্রামে সম্প্রতি বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে গান বাজানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককেই নাগরিক জীবনের এই উপদ্রব পোহাতে হচ্ছে। বিয়ে, গায়েহলুদ, জন্মদিন, ৩১ ডিসেম্বর, বিয়ে বার্ষিকীসহ নানা অনুষ্ঠানে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। কখনও প্রতিবাদ করলে কাজ হয়। কখনও নীরবেই তাঁরা মেনে নেন এসব উপদ্রব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উচ্চশব্দে এভাবে গান বাজনা বাজানো নিয়ন্ত্রণে আইন আছে। এর দেখভালের কর্তৃপক্ষও আছে। তবে আইনের কোনও প্রয়োগ নেই, কোনও কর্তৃপক্ষও এসব নিয়ে গরজ করে না, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ প্রসঙ্গে এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, গভীর রাতে শব্দদূষণের বিষয়ে স্থানীয়দের তরফ থেকে ৯৯৯ এ অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিই।
এসময় নিজেদের উৎসব পার্বণ উদযাপনের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরক্তি উৎপাদন যেন না হয়, এ বিষয়ে সচেতন থাকতেও সবার প্রতি অনুরোধ রাখেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এনএস/