বেগমগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ ও গণধর্ষণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৮:৫০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হীরাপুর গ্রামে অস্ত্রের মুখে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের পর ভাইরালের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ এবং অপহরণ ও পর্ণোগ্রাফির মামলায় গ্রেফতার ২ আসামির মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ফয়সল নামে একজন। সাইফুল ইসলাম ইমন নামে অপরজনকে দুটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী জেলা ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে ইমনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় এবং একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন ফয়সল।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই মাস পর তাকে উদ্ধার করা হলো।
এর আগে এ ঘটনায় নোয়াখালী বেগমগঞ্জ মডেল থানায় বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে একই এলাকার রাসেল (২৫), জোবায়ের (২৪), সাইফুল ইসলাম ইমন (২২) এবং ফয়সাল নামের ৪ যুবকসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। ওইদিন রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম ইমন ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার জানান, পুলিশের একটি বিশেষ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ওই তরুণীকে শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হীরাপুর গ্রামে অস্ত্রের মুখে মাদ্রাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ, ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ ও জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর অভিযুক্ত ফয়সল ও ইমনকে রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার দুই মাস পর শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এনএস/