রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে ফিলিপাইনে দ্বিতীয় দিনের মতো সিনেটের কমিটির শুনানি শুরু
প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৫৫ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে ফিলিপাইনে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে সিনেটের কমিটির শুনানি। তবে এ সেশনে কিছু বলতে রাজি নন রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো। সিনেটের বিশেষ কমিটির কাছে সব তথ্য দেবেন বলে জানান তিনি। এদিকে ক্যাসিনো থেকে অর্থ রুপান্তর ও পাচারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সিনেট কমিটি। অর্থ উদ্ধার তদন্তে সহায়তা করছে এফবিআই।
ফিলিপাইনের ম্যানিলার শহরের এই ক্যাসিনোগুলোতেই হয় কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা। অর্থ কোথা কে এলো, কিভাবে এলো বা কোথায় গেলো তা নিয়ে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। মানি লন্ডারিং আইনের আওতার বাইরে এসব ক্যাসিনো।
আর এই সুযোগটাই নিয়েছিলো পাচারকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় পাঠানোর পর তা যায় সোলাইরি রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো, সিটি অব ড্রিমস ও মাইডাস নামের তিন ক্যাসিনোতে। এরপর অর্থ রুপান্তর হয়ে পাচার হয় অন্যত্র।
এবার এসব ক্যাসিনো থেকে অর্থ উদ্ধারের দিকেই নজর দিয়েছে সিনেট কমিটি। তদন্ত করে দেখা হবে অর্থের ‘ইলেকট্রনিক ট্রেইল’। তদন্তে সহযোগিতা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই।
এদিকে সিনেটের কার্যনির্বাহী কমিটির শুনানি শুরু হয়েছে। তবে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নন রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো। কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে সব তথ্য দেয়ার কথা বলেন তিনি।