ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাঙালির সংগ্রাম (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার

শুরু হলো স্বাধীনতার মাস, অগ্নিঝরা মার্চ। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণে পিষ্ট বাঙালির ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। ভাষা-সংস্কৃতির ওপর আঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শুরু। বায়ান্নতে রক্ত দেয় বাঙালি। এরপর চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন। আর এই ঘটনাক্রম ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের পরশ পাথর বাঙালিকে টেনে নিয়ে যায় যুদ্ধের মঞ্চে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাঙালি করেছে লড়াই-সংগ্রাম।

১৯৪৭, ব্রিটিশ শাসনের অবসান। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম, শুরুতেই বৈষম্য। পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু মানুষের ভাষার ওপর 
আঘাত। শিরদাঁড়া সোজা করে বাঙালির প্রতিবাদ। বায়ান্নতে রাজপথে রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার আদায়। 

বাঙালি বুঝে গেছে, এই পাকিস্তানের সাথে আর থাকা যাবে না। আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে তাদের প্রিয় মুজিব ভাই। 
 
৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করলেও বাঙালিকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হলো না। গ্রেফতার করা 
হলো শেখ মুজিবুর রহমানকে।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বপাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে বাঙালির রাজনৈতিক মোর্চা, যুক্তফ্রন্টের ভূমিধস বিজয়। বোঝা গেল, বাঙালি রায় দিয়ে দিল পাকিস্তান তাদের কাছে অনাকাঙ্খিত।

’৬৬তে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়দফা দিলেন শেখ মুজিব, আবারও কারাগারে। এবার আগরতলা মামলায় ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র। 
  
৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, রক্ত দিয়ে শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করলো বাংলার মানুষ। রেসকোর্সের জনস্রোতে শেখ মুজিবুর 
রহমান ভূষিত হলেন বঙ্গবন্ধু উপাধিতে।  

৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়, ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা। একদিকে আলোচনা, অন্যদিকে জাতিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত 
করছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৭ই মার্চ সব নির্দেশনাই দিয়ে দিলেন।  

যুদ্ধদিনের আভাস বাঙালিকে যেমন আন্দোলিত করেছিলো, তেমনি করে তোলে সাহসী।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনের ৩ দিন আগে বলে দিয়েছিলেন যে, আমার দল নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি পাবে। তাইই হয়েছিল, কিন্তু ক্ষমতা তো পেলাম না।

বঙ্গবন্ধুর ইশারার অপেক্ষা শেষে মুক্তিকামী বাঙালি নির্দেশ পায় যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ার।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, যাতে করে তিনি সাংকেতিক ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলে দিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি ছিল সর্বোত্তম ভাষণ তাঁর জীবনের। ১৬ থেকে ২৪ আলোচনা হলো ইয়াহিয়ার সঙ্গে, যা ছিল প্রহসনের আলোচনা। আলোচনার আড়ালে তারা অপারেশন সার্সলাইট চূড়ান্ত করে।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে বিশ্ববাসী স্মরণ করবে এই সংগ্রামের ইতিহাস, মুক্তির ইতিহাস।
ভিডিও :

 

এএইচ/ এসএ/