ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের দিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

মূলত: একাত্তরের মার্চেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের কবর রচনা হয়। দোসরা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদী কর্মসভায় উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের পতাকা। পরবর্তীতে মানচিত্রখচিত ওই পতাকাই সাহস যোগায় মুক্তিযোদ্ধাদের, পথ দেখায় স্বাধীনতার। 

একাত্তরের পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদের বৈঠক স্থগিত করেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এ খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে
ছাত্র-জনতা। পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদী জনসভা। ছাত্রদের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার। অগ্নিঝরা স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাস। এদিনই উড়লো বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করে ইতিহাসের স্বাক্ষী হন আ স ম আব্দুর রব।  

স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আব্দুর রব বলেন, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশের কথা ছিল দোসরা মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে। কিন্তু পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হলো নিউক্লিয়াস, এটার নেতা হলেন সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরিফ আহমেদ। সুভাগ্যবশত, দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যে, ওই পতাকাটা এনে আমার হাতে দিবে আর্টস ফ্যাকাল্টির এখানে। তো পতাকাটা আমার হাতেই দেওয়া হয়েছিল।

সমবেত ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশ মেনে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেয়। 

আ স ম আব্দুর রব আরও বলেন, ১১৬নং কক্ষে সিদ্ধান্ত হয় এবং সেই পতাকাটা আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে সর্বপ্রথম দিয়েছিলাম ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে, জহুর দিবসে। বঙ্গবন্ধু সেটা আবার গুছিয়ে আমাকে ফেরত দিলেন। জহুর বাহিনীর পতাকা, তারপর ফেব্রুয়ারি বাহিনীর পতাকা, জয়বাংলা পার্টির পতাকা, তারপর হলো বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যেহেতু নেতাকে সবাই মনে রাখবে এবং উদ্দিপন পাবে সেই জন্য মুজিববাহিনীর পতাকা। 

মানচিত্র খচিত প্রথম পতাকাই ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসের ঠিকানা। সেই সাহসে ভর করেই স্বাধীনতা শব্দটি শুধুই
বাঙালির। 

ভিডিও-

এএইচ/