প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ, প্রেমিকসহ কারাগারে ৪
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ২ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতায় গণধর্ষণের শিকার হন ১৭ বছরের এক কিশোরী। এ মামলায় কথিত প্রেমিকসহ গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে আজ মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছয় জনকে অভিযুক্ত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার জামালপুর ও রাণীশংকৈলে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল (১৯), একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২০), নুনতোর বাবুপাড়া গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে রমজান আলী (১৯), ঝাড়বাড়ি মোহাম্মদপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের ছেলে পইদুল ইসলাম (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত চারজন অপরাধ স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তদন্তে দোষী হিসেবে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, এক মাস আগে মোবাইল ফোনে বাবুল ওরফে বাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর। সেই পরিচয়সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মাঝে। এরই জেরে গত শনিবার বিকালে ওই কিশোরী তার ১২ বছর বয়সী ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর সঙ্গে বাড়ির পাশে কাশিয়াডাঙ্গী বাজারে দেখা করতে যায়। ওই সময় বাবু কিশোরীর বোনকে কৌশলে ওই বাজারের পাশে একটি বাড়িতে আটকে রেখে কিশোরীকে অপহরণ করে পাশের এক আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বাবুর বন্ধুরা একসঙ্গে মিলে ওই কিশোরীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরদিন (রোববার) সকালে আটকে রাখা অপর কিশোরী (ধর্ষিতা কিশোরীর বোন) কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আম বাগানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বোনকে খুঁজে পায়। এরপর দুজনে মিলে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহারাজা বাজারে যায়। পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুজি করে সেদিন বিকেলে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এনএস/