ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে আফগানিস্তান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৪:৪৩ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার
তিন উইকেট নেয়ার পথে ভিক্টর নায়ুচির একটি আবেদন।
আফগানিস্তানকে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে দিয়েও দারুণ অস্বস্তিতে ছিল জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথমদিন শেষে অধিনায়ক শিন উইলিয়ামসের ফিফটিতে ২ রানের লিড নিতে পেরে অনেকটাই স্বস্তিতে ফেরে সফরকারীরা। আর আজ সেই অধিনায়কের অনবদ্য শতকেই এখন ইনিংস জয়ের দ্বারপ্রান্তে জিম্বাবুয়ে।
আগের দিনে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা শিন উইলিয়ামস আজ ব্যাট হাতে নেমে ৯ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। তার আগেই অবশ্য নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিকে তৃতীয় শতকে রূপ দেন। যাতে দলের স্কোরকে নিয়ে যান সম্মানজনক পর্যায়ে।
আমির হামজার পঞ্চম শিকার হওয়ার আগে বাঁহাতি উইলিয়ামসের উইলো থেকে আসে ১০৫ রান। তাঁর ১৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি দর্শনীয় চারের মার। এর আগে দিনের শুরুতেই বার্লের (৮) আউটের পর রেগিস চাকাভার সঙ্গে গড়েন ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি। চাকাভা ৪৪ রান করে ফিরলে এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে, ২৫০ রানে।
এতে প্রথম ইনিংসে ১১৯ রানে পিছিয়ে পড়লেও প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আফগান স্পিনার আমির হামজা। একাই তুলে নেন জিম্বাবুয়ের ৬টি উইকেট, ৭৫ রানের বিনিময়ে। যা তাঁর দুই টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পাওয়ার ঘটনা। এছাড়া আরেক স্পিনার জাহির খান নেন ২টি উইকেট।
এদিকে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ধুঁকছে আফগানিস্তান। মাত্র ৪৭ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে লড়ছে ইনিংস হার এড়াতে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ওই ৬ উইকেটেই ৫০ রান।
এর আগে মঙ্গলবার আবুধাবিতে শুরু হওয়া দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। ওইদিন সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মুজারাবানির পেস তোপে এরপর মাত্র ৮ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় আসগর আফগানের দল। এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন আরেক পেসার ভিক্টর নায়ুচি।
মূলত এই দুই বোলারের আগুনে বোলিংয়ে একে একে উইকেট হারাতে থাকা জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ১৩১ রানেই। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে অধিনায়ক আসগর আফগানের ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩১ রান করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
আর প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকায় ছিলেন জিম্বাবুইয়ান পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। ৪৮ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন তিনি। কম জাননি ভিক্টর নায়ুচিও। তিনটি উইকেট গেছে মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা ২৮ বছর বয়সী এই পেসারের ঝুলিতে।
এনএস/