ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

উইঘুর নারীদের ‘দুশ্চরিত্রা’ প্রমাণের চেষ্টা করছে চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৪ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার

উইঘুর নারীদের নাম ও ছবি সংবলিত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছে চীন। ছবি : রয়টার্স

উইঘুর নারীদের নাম ও ছবি সংবলিত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছে চীন। ছবি : রয়টার্স

চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর নারীদের শিনজিয়াংয়ের ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবিরগুলোতে ধারাবাহিক ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পশ্চিমা সমালোচনা ও বৈশ্বিক চাপ সামাল দিতে উইঘুর নারীদের ‘দুশ্চরিত্রা’ প্রমাণের চেষ্টা করেছে চীন। তারা উইঘুর নারীদের যৌন সম্পর্ক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চীনে মানবিধকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বৈশ্বিক চাপের মধ্যে বন্দীশিবিরগুলোতে উইঘুর নারীদের গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির কর্মকর্তারা উইঘুর নারীদের যৌনসম্পর্ক, যৌনরোগ ও প্রজনন ক্ষমতার বিষয়ে মেডিকেলের গোপন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।’

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিবিরগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের যে অভিযোগ রয়েছে তা ঢাকতে উইঘুর নারীদের খারাপ চরিত্র প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। তারা নারীদের নাম-পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করেছে। তাদের প্রজনন ক্ষমতার ব্যাপারেও তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

চীনের পুশ-ব্যাক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে শিনজিয়াংয়ের প্রচার বিভাগের উপ-প্রধান শি গুইসিয়াং ডিসেম্বরে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘কিছু মিডিয়ার জঘন্য কাজকে প্রতিহত করতে আমরা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি।’

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইতিহাসের অধ্যাপক ও জিনজিয়াং নীতি বিশেষজ্ঞ জেমস মিলওয়ার্ড বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীদের বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কারণ তারা যে অভিযোগ করছেন তা চীনা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যকে দুর্বল করে দিচ্ছে।’ বেইজিং তার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো থেকে লিখিত কনটেন্ট নিয়ে নিবন্ধ আকারে ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট শিনজিয়াং : এক্সপোজিং দ্য ইউএস-লিড লাইস অ্যান্ড স্ল্যাংডারস অ্যাবাউট শিনজিয়ান’ শিরোনামে প্যাকেজ তৈরি করেছে। তারা উইঘুরদের নির্যাতনের ব্যাপারে অভিযোগগুলো ঢাকার চেষ্টা করছে।

গত জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। এক টুইটারে চীনা দূতাবাস বলেছিল, ‘উইঘুর নারীরা শিশু তৈরির মেশিন।’ শিনজিয়ানে উইঘুর নারীদের ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ ঢাকতে এবার তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে নারীদের দুশ্চরিত্র প্রমাণের চেষ্টা চালালো চীনা কমিউনিস্ট সরকার।

এসি