তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নতুন ধরনের যুদ্ধ শুরু চীনের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার
মাতসু দ্বীপ। ছবি রয়টার্স
তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নতুন ধরনের যুদ্ধের সূচনা করেছে চীন। মূলভূখণ্ড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের চারপাশে ড্রেজিং জাহাজের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে বেইজিং। এতে করে স্থানীয় মৎসজীবিরা মাছ ধরতে পারছেন না, ফলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
জার্মানির গণমাধ্যম ডিডব্লিউ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ড্রেজিং জাহাজগুলো তাইওয়ানের স্থানীয় মৎসজীবিদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিডব্লিউ’র প্রতিবেদক জয়েস লী তার প্রতিবেদনে এই মৎসজীবিদের অপরিসীম দুর্দশার চিত্র তার প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন এবং মৎস শিল্পের পরিস্থিতিও তুলে ধরেছেন।
তাইওয়ানের মৎসশিকারি চি জুয়ি-ইয়েন ছয় বছর ধরে মাছ ধরার কাজ করছেন। বর্তমানে তার উপার্জন কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাছ ধরে বছরে এক লাখ তাইওয়ান ডলার আয় হতো আমার অফিসের। কিন্তু বর্তমানে তা কমে মাত্র ১০ হাজার তাইওয়ান ডলারে নেমেছে। মাত্র ১০ শতাংশ উপার্জন করতে পারছি আমরা। মাতশুকে আমরা ‘মাছের স্বর্গভূমি’ বলতাম কিন্তু এখন সবমাছ চলে গিয়েছে।’ এ পরিস্থিতির জন্য তিনি চীনের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ি করেন। তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের জন্য সমুদ্রতলের প্রাণীর আবাসস্থল শুকিয়ে যাচ্ছে এবং মাছের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
চীনের বালু উত্তোলনের কারণে শুধুমাত্র মাছের অভয়ারন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। মাতশুর চারপাশে উপকূলীয় ক্ষয় হচ্ছে বলেও ডিডব্লিউর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে চি জুয়ি বলেন, ‘আগে দেখা যেতো উপকূলটি বালু দিয়ে ভর্তি কিন্তু এখন সবজায়গায় শুধু পাথর। বালু কমে যাওয়ায় সৈকত আগের তুলনায় খাড়া হয়ে গিয়েছে।’
তাইওয়ানের মাতশু দ্বীপ চীনের মূল-ভূখণ্ড থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরে। গত বছর চীনের জাহাজগুলো এই দ্বীপের পানি থেকে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করে। প্রতিটি জাহাজ মাত্র দুই ঘন্টা সময়ে দুই হাজার টন বালু বোঝাই করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন সম্পদ শোষিত করা এবং বেসামরিকভাবে তাইওয়ানকে চাপে রাখতে চীনের ‘গ্রে-জোন কৌশলের’ অংশ হিসেবে এই বালু উত্তোলনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, প্রত্যক্ষ যুদ্ধে না জড়িয়ে শত্রুকে নিদারুন ক্লান্তির মাধ্যমে দমন করাই করাই গ্রে-জোন কৌশল। সূত্র: এএনআই নিউজ
এসি