ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জীবনভর শান্তি ও সাম্যের পথে হেঁটেছেন বঙ্গবন্ধু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার

জীবনভর শান্তি ও সাম্যের পথে হেঁটেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই দাবি আদায় করেছেন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীই বাঙালিকে সশস্ত্র যুদ্ধে বাধ্য করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- এই পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যা এখন দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মডেল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্ম্পকের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছে।

শান্তির বারতা নিয়েই রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ। বার বার কারাবরণ করেছেন তারপরও শান্তির পথ থেকে বিচ্যুত হননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সত্তরের নির্বাচনেই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিশ্বের সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বের নীতি থাকবে ও দুনিয়ার নির্যাতিত মানুষের বন্ধু হবে বাংলাদেশ। শোষক ও শোষিত বিভক্ত বিশ্বে শোষিতের পক্ষেই তাঁর অবস্থান।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিকে সশস্ত্র যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতার পররাষ্ট্র নীতিতে শান্তির বাণী।  

বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবে বাহাত্তরের ২৬ মার্চের আগেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৫৪টি দেশ। ১১৬টি দেশের স্বীকৃতি ও জাতিসংঘসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এনে দেন বঙ্গবন্ধু। শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে পেয়েছেন জুলিও কুরি পদক।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতিতেই বাংলাদেশ। বাস্তব কর্মকাণ্ডে এর স্বাক্ষর থাকায়, সে হিসেবে আক্ষরিক কোন শত্রু নেই বলেই উন্নয়ন এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যখন ১৯৭০ নির্বাচনে যায় আওয়ামী লীগ তখনেই কিন্তু এই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা সম্পর্ক থাকবে না- সেটা পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছিল। ওই প্রিন্সিপ্যালটাই কিন্তু ৭১-এর পরে একাধিকবার বঙ্গবন্ধু বলেছেন। শুধু তাই না, এর ধারাবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ যে জায়গায় আছে এবং সবার সাথে যে বন্ধুত্ব- এটাই কিন্তু কাজে লাগিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সর্ম্পক দৃঢ় করেছেন। যত সংকটই আসুক গঙ্গার পানি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, অমীমাংসিত সীমানা সমস্যার সমাধান হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অন্য দেশকে বলা যে তোমার বন্ধু তোমার শত্রু- তোমারই। সেই জায়গায় থাকার ফলেই আজকে আমরা যে উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছি, যে কাঠামোটা তৈরি করতে পেরেছি, যেটা এখন অনেকেই বলছে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মডেল তৈরি হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশ যখন স্বল্প মেয়াদী সুফল পেতে এদিক সেদিক গিয়ে বিভ্রান্ত হয়েছে, তখন বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল মিলছে। 

ঢাবির অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের গ্রোথ এখন পাকিস্তানের চেয়েও অনেক এগিয়ে। এমন কি হিউম্যান ইনডেস্কেও অনেক এগিয়ে আমরা।

জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি দিয়ে গেছেন। ভূ রাজনৈতিক কর্মকৌশলে তাঁর নীতি আজও প্রাসঙ্গিক।

ভিডিও-

এএইচ/