ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান, আটক ২৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার

সংঘর্ষে আহতদের কয়েকজন -ছবি একুশে টেলিভিশন।

সংঘর্ষে আহতদের কয়েকজন -ছবি একুশে টেলিভিশন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনার পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে বসুরহাট পৌর এলাকায়। আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংকায় আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র‌্যালি, শোভাযাত্রা, যে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে পৌর শহরে ৪ জনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের চলমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হন। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন। নিহত মো. আলাউদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর কালি গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। তাকে নিজের সমর্থক বলে দাবী করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। 

এদিকে, এ সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন ১৩ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ১১ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।

এনএস/