ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১১ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে অবকাঠামো উন্নয়নে দৃষ্টি দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষের পেটে দু’ বেলা দু’ মুঠো ভাত আর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক মেরামতে মনোযোগী হন তিনি। দেশটাকে পরিপূর্ণ রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাতির পিতা। মাত্র সাড়ে তিন বছর, বিশাল এই কাজে খুবই কম সময়ই পেয়েছিলেন তিনি। জাতির পিতার দেখানো পথে তাঁরই কন্যার হাত ধরে স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। 

নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশকে শশ্মানে পরিণত করে পাক হানাদাররা। পরাজিত হওয়ার আগে ধ্বংস করে যায় সবকিছু। ১০ জানুয়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বক্তৃতায় স্পষ্ট করেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপকল্প। 

সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে দেখলেন- গুদামে খাদ্য নেই, মাঠে ফসল নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ শূন্য। সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, নৌ ও সমুদ্র বন্দরগুলো বিধ্বস্ত, স্কুল-কলেজগুলো পরিত্যাক্ত সেনা ছাউনি। 

পরাজয় নিশ্চিত জেনে সব কিছুই ধ্বংস করে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। ১৯৭২ সালে প্রথম বিজয় দিবসে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক স্মরণীকার তথ্য বলছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩শ’রও বেশি রেল সেতু এবং ৩শ’ এর বেশি সড়ক ধ্বংস করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২৯টি জাহাজ ডুবিয়ে বন্দরে প্রবেশ বন্ধ করার অপচেষ্টাও ছিল।

১৯৭২ সালে প্রথম বাজেট ৫শ’ কোটি টাকা। পরের বছর প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়, ৪ হাজার ৪শ’ ৫৫ কোটি টাকার। এখানেই থেমে থাকেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ৪শ’ ১১ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা জাতিসংঘের কাছে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। পুনর্বাসন ও ত্রাণ কাজে ভারত থেকে সহায়তা এসেছিল আড়াই হাজার মিলিয়ন ডলার।

যোগাযোগের পুনরুদ্ধারে বড় বড় সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, টেলিফোন ভবন পুনঃনির্মাণ শুরু হয়। চলাচলের উপযোগী করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ, তিস্তা ও ভৈরব রেলওয়ে সেতু। 

প্রতিটি ক্ষণ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলা ও সচল করার চিন্তা তাড়া করতো জাতির পিতাকে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি উর রহমান বলেন, তাঁর প্রথম চিন্তা ছিল যেন কোন মানুষ মারা না যায়। তারপর দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান দৃঢ় করা। উনি বলেছেন, আমাদের সমস্ত দেশটাকে এক করে ফেলবো, অতঃপর ঢাকা থেকে যে কোন সময় যে কোন জায়গায় যেন যেতে পারি আমরা।

পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে থামিয়ে দেয়া হয় উন্নয়নের ধারা। 

সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, একটা দেশকে গড়ে দেওয়ার জন্য সাড়ে তিন বছর একেবারেই কিছু ছিল না। যেখানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন যে, আমি তিন বছর তোমাদের কিছুই দিতে পারবো না। তারপরও যে সম্পদ আমাদের দিয়েছেন, এটা তো আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ তারই ফল ভোগ করছে।

স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নের রূপকার ও নির্মাতা ছিলেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

জাতির পিতার দেখানো পথেই উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল- এ যেনো উন্নত বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু কণ্যার হাত ধরেই উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশ।
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/