সুস্থ থাকতে যোগ ব্যায়াম ‘উষ্ট্রাসন’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১২ মার্চ ২০২১ শুক্রবার
শরীরে রোগব্যাধি নেই এইরকম মানুষ কমই আছে। তবে শরীরকে সুস্থ রাখার কিছু কৌশল রয়েছে। যা রপ্ত করতে পারলে অনেক দিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব। শরীর আর মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নিজেকে ঠিক রাখতে আপনি আশ্রয় নিতে পারেন যোগব্যায়ামের। যাকে ইয়োগা চর্চা হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। শুরুতে একটু কষ্টকর এবং পরিশ্রমী মনে হলেও কিছু দিনের নিয়মিত অনুশীলনে এ ব্যায়ামে মানিয়ে নিতে পারবেন নিজেকে। এরপর খুব কাছ থেকেই দেখতে পারবেন শরীরের হাত ধরে বেড়ে ওঠা আপনার মনের পরিবর্তন।
৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম/ইয়োগা চর্চা করা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। যোগ ব্যায়াম/ইয়োগা চর্চা মন ও শরীরের সঙ্গে সংযোগ এবং উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে। যোগ ব্যায়ামের সুবিধা হল মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই জরুরী। ব্যায়াম করোনা সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে ফলপ্রসূ। তাই এই সময় নিয়মিত যোগব্যায়াম/ইয়োগাগুলো চর্চা করতে পারেন। এই যোগব্যায়াম বা ইয়োগাগুলো চর্চার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে ‘উষ্ট্রাসন’ একটি। আজ আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রথমে দুই হাঁটুর ওপর ভর করে দাঁড়ান। দুই হাঁটুসহ দুই পা লেগে থাকবে। মেরুদণ্ড সোজা থাকবে। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে।
এবার দম স্বাভাবিক রেখে দুহাত দিয়ে দুপায়ের গোড়ালি ধরুন। বুক ও পেট যতটা সম্ভব সামনের দিকে এবং ঘাড় ও মাথা পেছন দিকে বাঁকিয়ে ধনুকের মতো করুন। এ অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন। তারপর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন। এভাবে তিন থেকে পাঁচ বার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন-যদি প্রথম অবস্থায় পা জোড়া লাগিয়ে না করতে পারেন তাহলে দুই হাঁটু, পা ফাঁকা করে করলে সহজে করতে পারবেন। দুহাত একত্রে গোড়ালির ওপর না রাখতে পারলে একহাত দিয়ে ধরুন, অন্য হাত দিয়ে খাটের পাশে করলে খাট ধরুন কিংবা দেয়াল ধরে করুন। এভাবে হাত পাল্টে একবার ডান হাত দিয়ে ডান পা আবার বাম হাত দিয়ে বাম পা ধরতে চেষ্টা করুন। এভাবে কিছুদিন অভ্যাস করলে সঠিক ভঙ্গিমায় আসনটি করতে পারবেন।
উপকারিতা
- যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন ভোরে একগ্লাস পানি খেয়ে উষ্ট্রাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে বিশেষ উপকার পাবেন।
- উষ্ট্রাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে পেটে চর্বি জমতে পারে না। চর্বি থাকলে কমিয়ে কোমর ও পেট সুন্দর-সুশ্রী করে।
- শরীরে গরম-ঠান্ডা লাগার সহ্যশক্তি বাড়ায়।
- হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড ও টনসিল সুস্থ এবং সক্রিয় রাখে। এড্রিনাল গ্রন্থিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত চলাচল করিয়ে তাদের সুস্থ ও কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা : যে কোনো ইয়োগা চর্চার আগে অভিজ্ঞ ডাক্তার বা ইয়োগা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।