সম্রাটের অর্থপাচার মামলার চার্জশিট এপ্রিলে (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২১ শনিবার
যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ দেশ-বিদেশে তার আছে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার সম্পদ। সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এপ্রিলেই চাঞ্চল্যকর এই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান। ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর রাজিবের মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর ক্লাব পাড়া ফকিরাপুলের অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা সম্রাট। দক্ষিণ ঢাকার মার্কেট এবং ফুটপাতও নিয়ন্ত্রণ করতো সম্রাটের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সম্মতি ছাড়া গণপূর্ত, ডেসা, ওয়াসা, তিতাস বা শিক্ষা ভবনের কাজ পেতেন না ঠিকাদাররা।
পুলিশের তথ্য অনুয়ায়ী, সম্রাটের চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল অন্তত ২শ’।
বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ডে আলোচিত এই সম্রাট ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতারে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরু করে র্যাব।
অভিযানের এক পর্যায়ে ওই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার হন সম্রাট।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে সিআইডি। মামলায় তার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সিআইডির তদন্তে দেখা গেছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে তিনবার, দুবাইতে দু’বার আর হংকয়ে একবার যাতায়াত করেছে সম্রাট।
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দেশে সম্রাটের নামে-বেনামে প্রায় ১৯৫ কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্যও মিলেছে।
অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, তার কিছু সম্পদ দেশের বাইরে পেয়েছি। সেই দেশে মিউজুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্সকে (এমএলআই) পাঠিয়ছি আমরা। অপেক্ষা করছি জবাবের, এমএলআইটা পেলেই আমরা কেস ডিসপোস করবো। আশা করছি খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না, হয়তো দুই এক মাসের মধ্যেই পেয়ে যাব।
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর রাজীবের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তদন্তও শেষ পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, তার যে আরও বিভিন্ন রকমের সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে কোর্টের অর্ডার শীঘ্রই আমরা চাইবো। আর এই কেসটাও শেষ পর্যায়ে, কোন জটিলতা নেই। দেশের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শুধুমাত্র সিআইপেনগুলো সংগ্রহ করা, যাচাই-বাছাই করা এবং স্টাডি করা। আমরা আশা করছি যে এক দেড় মাসের মধ্যেই এই কেসটা শেষ করতে পারবো।
অন্য আলোচিত মামলাগুলোর তদন্তেও অগ্রগতির আছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।
সিআইডি প্রধান জানান, আমাদের প্রতি কোন চাপ নেই। আমরা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কেসগুলো শেষ করে ফেলবো।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/