ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:১১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২১ শনিবার

বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ট্রাক চালকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ৩ ঘন্টা বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পণ্য খালাস না হওয়া ও বন্দরের বাহিরে যেতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে হিলি স্থলবন্দরের প্রবেশ মুখ ট্রাক বেরিগেট দিয়ে অবরোধ করে অবস্থান নেয় ভারতীয় ট্রাক চালকরা। এতে করে বন্দরের অভ্যন্তরে নতুন করে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্য নিতে আসা বাংলা ট্রাক প্রবেশ বন্ধ ছিল। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষজন। 

পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে দুপুর ১২টা থেকে বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি রফতানিসহ সকল কার্যক্রম শুরু হয়।

ভারতীয় ট্রাক চালক অনিল কুমার ও ফারুক হোসেন জানান, আমরা যেসব ট্রাক ভারত থেকে পণ্য নিয়ে হিলি স্থলবন্দরে আসি পুর্বে বন্দরে প্রবেশের ২/৩ দিনের মধ্যেই পণ্য খালাস হয়ে যেতো। সে হিসেব অনুযায়ী টাকা ও খাবার নিয়ে আসতাম। কিন্তু বর্তমানে ১০/১৫ দিন হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত ট্রাক খালি হচ্ছে না। এতে করে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের। আমরা যে একটু বন্দরের বাহিরে চা খেতে বা বাজার করতে যাবো তার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া দুদিন আগে আমাদের এক চালককে কুকুরে কামড় দিলে তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতেও পারছিনা।

সবমিলিয়ে আমরা চালক ও হেলপাররা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি, যার কারণে বাধ্য হয়ে আজকে অবরোধে যেতে হয়েছে। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আগামীকালকের মধ্যে এসব মানা না হলে আবারও আমরা আন্দোলনে যাবো বলে হুমকি দেন তারা। 

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, করোনার কারণে ভারতীয় ট্রাকচালকদের বন্দরের বাহিরে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে তারা খাবারসহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে আসবে যা ভারতীয় রফতানিকারক ও সিআ্যন্ডএফ এজেন্টদের পত্র দিয়ে অবহিত করা আছে। সেই মোতাবেক বন্দরের কার্যক্রম চলে আসছিল, তবে আজ শনিবার সকাল থেকে ভারতীয় ট্রাক চালকরা অবরোধ শুরু করে। 

পরে তাদের সাথে বসে বন্দরের বাইরের যাওয়া বন্ধের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এছাড়া তাদের অন্য দাবির বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বন্দরের আমদানিকারক ও সিআ্যন্ডএফ এজেন্টদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। এতে তারা সম্মত হলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এএইচ/