ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘর সাজানোর সৌখিন সামগ্রী (ভিডিও)

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২১ রবিবার

গবাদী পশুর খাদ্য কচুরিপানাকে নান্দনিক রূপ দিয়েছে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা। তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘর সাজানোর সৌখিন সামগ্রী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিক্রি হচ্ছে বিদেশেও।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনের পাড়া গ্রামের সুভাষ চন্দ্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ঢাকা থেকে। পরে তিনি প্রশিক্ষণ দেন বেশ কয়েকজন নারীকে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ভাষাপাড়া, কঞ্চিপাড়া, মদনেরপাড়া ও সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর ও তালতলা গ্রামের প্রায় আড়াইশ’ নারীকে দিয়ে শুরু করেন সৌখিন পণ্য তৈরির কাজ।

গাইবান্ধার উদ্যোক্তা সুভাষ চন্দ্র বলেন, আরও অনেক উৎসাহী লোক আসতেছে কিন্তু পুঁজির কারণে আমি এই সুযোগটা দিতে পারছি না। আমার যদি পুঁজি বেশি হতো বা কোন লোন পেতাম তাহলে হয়তো এই এলাকায় আরও বড় কিছু করতে পারতাম।

বাড়ির আঙ্গিনায় শুকনো কচুরিপানা দিয়ে নারীরা তৈরি করছেন ঘর সাজানোর সামগ্রী। এসবের মধ্যে রয়েছে ফুলদানী, ফুলের টব, মাদুর, ঝুড়িসহ অনেক কিছু। এ কাজ করে তাদের প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ’ টাকা আয় হয়। এতে খুশি গ্রামের অন্যান্য মানুষও।

নারী শ্রমিকরা জানান, পানার কাজ আসাতে আমরা অনেক খুশি। এ বিষয়ে দুই-তিন আমরা ট্রেনিং দিয়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আনন্দের মধ্যেই এই জিনিসটা তৈরি করছি। খুবই ভালো লাগে। প্রতি পিসে ২০ টাকা পাচ্ছি, সারাদিন আমরা সাত থেকে ৮টি পর্যন্ত বানাই। এর ফলে দিনে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা আসে। মাসে যে টাকা পাই তা আমাদের সংসারে কিছুটা কাজে লাগাই এবং বাচ্চাদের অনেক শখও পূরণ করতে পারি।

গ্রামবাসীরা জানান, নর্দমার মধ্যে পরে থাকা এই কচুরিপানা দিয়ে কাজ হয়, এটা আমরা কখনই ভাবিনি। টাকাও আসছে, এই টাকা দিয়ে মেয়েরা নিজেদের মুনাফা অর্জন করছে।

কচুরিপানা দিয়ে নারীদের নিপুণ হাতের তৈরি সৌখিন সামগ্রী যাচ্ছে বিদেশেও।

ভিডিও-

এএইচ/