ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সিকৃবি গবেষণা

একই জমিতে ভূট্টা ও শাক চাষে বাড়বে আয় 

সিকৃবি প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভুট্টার চাষ হয়ে আসছে। সম্প্রতি সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি যেমন লালশাক, ডাটাশাক, পালংশাক, লাইশাক, সরিষাশাক, খেসারিশাক, ধনিয়া ইত্যাদি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন সিলেটের কৃষক। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ব ও হাওর বিভাগের নতুন গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। 

সিলেট অঞ্চলে শাক-সবজির চাহিদা এমনিতেই বেশি। এদিকে অন্যান্য দানাদার শস্যের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামূলক বেশি বলে। ভুট্টা চাষে সার তুলনামূলক বেশি প্রয়োজন হয় এবং প্রাথমিক অবস্থায় দুই গাছের মধ্যবর্তী স্থানে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে। এই ফাঁকা জায়গার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষ করা সম্ভব। 

অতিরিক্ত আকারে সার ছিটানোরও প্রয়োজন হয় না। এতে করে সমপরিমাণ জায়গায় অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষকালে ভুট্টা কিংবা শাকসবজি কোনো ফসলের উৎপাদনই তেমন বাধাগ্রস্থ হয়নি। বরং খেসারি শাক ও ধনিয়ার সাথে ভুট্টার উৎপাদন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এতে করে অতিরিক্ত আকারে প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০,০০০-৮০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। 

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেমের (সাউরেস) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কৃষিতত্ত্ব ও হাওর  বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক। এই গবেষণায় আরো যুক্ত হয়েছেন মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী পলাশ দেব নাথ এবং নুর মোহাম্মদ।

সিলেটের স্থানীয় কৃষকেরা এই ধরনের চাষাবাদে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে এই গবেষকদল।

আরকে//