এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন শুধু আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে সহজে নামানো যাবে না।
বুধবার (১৭ মার্চ) তেজগাঁয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শুভ জন্মদিনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপতৎপরতা প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সোনার বাংলা গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি।
তিনি বলেন, সকল বাধা পেরিয়ে দেশকে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবোই, ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহরের আজ অবসান হতে চলেছে। আজ এমন এক সময়ে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাশীল উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। আর্থ- সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টা এবং জনগণের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফসল আজকের এই প্রাপ্তি। আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তারা আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ১৭ মার্চ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মাহাত্মপূর্ণ দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে বাংলাদেশের নিভৃত পল্লীতে জন্ম নিয়েছিল এক শিশু। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা খাতুনের কোলে। টুঙ্গিপাড়া আলোকিত করে যে শিশু এদিন এসেছিল। সে শিশুই বাংলাদেশে আলো ছড়িয়েছে। এনে দিয়েছে স্বাধীনতা, ভাষা, মানচিত্র ও পতাকা।
তিনি বলেন, মুজিব চিরন্তনে দেশ-বিদেশে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। আমাদের এই অনুষ্ঠান চলবে এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেদিনই আমাদের বিজয় দিবস। সেদিন সারা বাংলাদেশ থাকবে উৎসবমুখর। এ সময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব দেশ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপির সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা ও বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালি প্রমুখ।
এসি