ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ৩০ ১৪৩১

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে :

প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এম রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী হোসেন সরোয়ার।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, সেদিনের টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়াগাঁয় জন্মগ্রহণ করা ‘খোকা’ নামের সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি।  গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু।  কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।  গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিব প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন।  এরপর থেকে শুরু হয় তাঁর আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা।

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এম রেজাউল করিম রেজা বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশক শাসন অবসানের পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধারাবাহিক নানা আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন।  ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।  বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরভাস্বর হয়ে আছে।  ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেসকো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন।  সে রাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়।  মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধুকে কারাবন্দি করে রাখা হয়।  সে সময় প্রহসনের বিচার করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্যোগও নেয় পাকিস্তানি শাসকরা।  যদিও পরে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে তা সম্ভব হয়নি।  বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন।  এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেন।

এ সময় ভার্চুয়াল সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের মোঃ জসিমউদদীন চৌধুরী, মোঃ হুমায়ুন কবীর আমির, কবি আলমগীর হোসেন, মিনহাজউদ্দিন মিরান, লাল্টু বিশ্বাস, জিএম সালাউদ্দিন, মোঃ আবুল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, মোঃ সফিক আব্দুল করিম, শাহজালাল  মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের এবাদউল্লাহ, ডলার রন্জন দাস, মোফাজ্জল হোসেন খান মাসুম, শেখ আরমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েমিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আরকে//