ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

নাটকীয় জয়ে সমতায় ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ এএম, ১৯ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

সূরিয়াকুমার যাদব

সূরিয়াকুমার যাদব

শেষ ওভার পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে লড়ে গেল ইংল্যান্ড। কেননা, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সিরিজ টিকিয়ে রাখতে চাননি ইয়ন মর্গ্যান। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন বিরাট কোহলিই। নাটকীয় উত্তেজনাময় চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল ভারত।

ইংল্যান্ড ইনিংসের তখন মাঝামাঝি সময়। ক্রিজে দাপিয়ে খেলে চলেছেন জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস। বারবার বোলার পরিবর্তন করেও সাফল্য পাচ্ছিলেন না বিরাট কোহলি। শেষমেশ সাফল্য এলো রাহুল চাহারের হাত ধরে। তাকে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়লেন বেয়ারস্টো (২৫)। এরপর শার্দূল ঠাকুর আক্রমণে এসে পরপর তুলে নিলেন স্টোকস এবং মর্গ্যানকে। মূলত ওখানেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়।

সুযোগ পেয়েই এই ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করলেন সূরিয়াকুমার যাদব। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি মুম্বাইয়ের এই ব্যাটসম্যান। বাদ পড়েন তৃতীয় ম্যাচেই! কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে ফিরেই ভারতের কাণ্ডারি যে তিনিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো জোফ্রা আর্চারকে পুল করে স্কোয়্যার লেগে ছয় মেরেই। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গেল নেটজুড়ে। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩১ বলে ৫৭ রান করেন ম্যাচ সেরা যাদব।

গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। আদিল রশিদের প্রথম বলে ছয় মেরে রোহিত শর্মা শুরু থেকেই ইংরেজদের ঘাড়ে চেপে বসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ধরে রাখা যায়নি। ১২ রানের মাথায় ফেরেন রোহিত শর্মা।

লোকেশ রাহুলেরও অফ ফর্ম অব্যাহত। ধীরেসুস্থে খেলে পরপর তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তিনিও ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলেন না। রাহুল ফেরার পর নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ১ রানের মাথায় আদিল রশিদের বলে কার্যত ‘আত্মহত্যা’ করলেন ভারত অধিনায়ক। এগিয়ে এসে রশিদকে ছয় মারতে গিয়েছিলেন। ইংরেজ স্পিনারের গুগলিতে সম্পূর্ণ বোকা বনে যান তিনি। স্টাম্প করতে দেরি করেননি জস বাটলার।

ভারতের রান ভদ্রস্থ জায়গায় (১৮৫/৮) পৌঁছতে সূরিয়াকুমার যদি সাহায্য করে থাকেন, তাহলে নেপথ্যে ছিলেন আর এক মুম্বাইকর। শ্রেয়াস আয়ার ঝোড়ো গতিতে রান করে ইংরেজদের চাপে রাখার চেষ্টা করে যান আগাগোড়া। মাঝে এসে নিজস্ব মেজাজে রান তুলে দেন ঋষভ পণ্টও (৩০)। ইংরেজদের পক্ষে জোফ্রা আর্চার একাই ৪টি উইকেট লাভ করেন।

জবাবে ইংল্যান্ড শুরুতেই হারায় জস বাটলারকে। ভুবনেশ্বরের বলে ফিরে যান আগের ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বাটলার (৯)। তবে উল্টো দিকে ক্রমশ মারমুখী হয়ে উঠছিলেন জেসন রয়। ভারতের কোনও বোলারকেই তিনি পরোয়া করছিলেন না। ২৭ বলে ৪০ করে রয় ফেরার পরও ম্যাচের রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস।

দু’জনে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৬৫ রান তুলে ফেলেন। এক সময় মনে হচ্ছিল ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়েই যাবে। হঠাৎই ছয় মারতে গিয়ে সীমানার ধারে ওয়াশিংটনের হাতে ক্যাচ দেন বেয়ারস্টো (২৫)। তারপরেও নেতা ইয়ন মর্গ্যানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্টোকস।

তবে ম্যাচের মোড় ঘোরে ১৭তম ওভারে। শার্দূলের প্রথম দুই বলে ফিরে যান স্টোকস (৪৬) এবং মর্গ্যান (৪)। ওই ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এসে গিয়েছিল ভারতের হাতেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চিত্রনাট্য বদলে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ক্রিস জর্ডান (১২) এবং আর্চার (১৮*)। তবে জর্ডান ফিরতেই আশা শেষ হয় ইংরেজদের।

এনএস/