ঢাকা, শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

খেটে খাওয়া মানুষের ইফতার খুব সাদমাটা

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৪ জুন ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৭:৩৯ পিএম, ৪ জুন ২০১৭ রবিবার

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে রাজধানীসহ সারা দেশে জমে ওঠে ইফতারের হাট। উচ্চবিত্তদের বা মধ্যবিত্তের ইফতারে বাহারী আয়োজন থাকলেও খেটে খাওয়া মানুষের ইফতার খুব সাদমাটা। অনেকেই কেবল পান্তা দিয়ে সারেন ইফতারি।  আর কারো জন্য গলির মোড়ের টং দোকানের সস্তা ছোলা-মুড়িই সর্বোচ্চ আয়োজন।
বয়স আশি ছুই ছুই। জীবিকার প্রয়োজনে এখনো দিন মজুরের কাজ করেন। রমজানে অনেকের খরচ বেড়ে গেলেও তাঁর খুব একটা বাড়ে না। কারন ইফতারী আয়োজন বলতে অন্যদিনের মতো সাধারণ ডালভাত।
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে গড়ে ওঠা এই বসতির বেশীর ভাগ মানুষের ইফতারীর আয়োজন খুবই সাদামাটা।
তবে স্বল্প আয়ের এসব মানুষ মাঝে মধ্যে শখ করে একটু আয়োজন করে। একটু ডালের বড়া বা পিয়াজী বানানোর মধ্যেই যেন অনেক আনন্দ।
মিরপুরের ঝুটপট্টি এলাকায় বস্তির পাশের এই ছোট টং দোকানগুলোতে ইফতারের সময় ভিড় লেগে থাকে।  দশ বিশ টাকার ইফতারীতে খুশি এখানকার ক্রেতারা।
ছোলা মুড়িতো হলো। এই গরমে ঠান্ডা পানি বা শরবত না হলে কি হয়? তাই ভীড় থাকে বরফের দোকানে। বিক্রেতারা এর নাম দিয়েছে গরীবের ফ্রিজ।
আযানের সুরে ইফতারীর সময় শুরু হলে এক কক্ষের এক ঘরে সবাই মিলে সামান্য ছোলা মুড়ি যেন বিশাল আয়োজন।
আয়োজন যাই হোক দিন শেষে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতারী করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় সার্থকতা বলেই মনে করেন শ্রমজীবী মানুষেরা।