বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে : সেতুমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০২১ সোমবার
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতেই হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, আর তাদের উস্কানী ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি। তাই আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই।’
সেতু মন্ত্রী আজ সকালে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনো বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ শোনা যাচ্ছে, এখনো কাল
নাগিনীর বিষাক্ত ছোবল ও উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে,এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তারা সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে অন্ধকার চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় আসার দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন শক্তি এ সরকারকে উৎখাত করতে পারবেনা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা শেষে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে, শৃঙ্খলা না মানলে যত বড় নেতা বা জনপ্রতিনিধি হোন না কেন,দল কাউকে ছাড় দিবে না। ’
বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণা ও দলীয় কার্যক্রমে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেয়াল-খুশিমতো কথা বলা এবং অরাজনৈতিক বক্তব্য দলের ও সরকারের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কথাবার্তায় দলের শৃঙ্খলার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারো ব্যক্তিগত অনিয়মের দায় দল বহন করবে না।
সুবিধা বাদীদের নিয়ে দল ভারী না করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সুবিধা বাদীদের নিয়ে কমিটি গঠন না করে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে দলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের বাঁচাতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণ হচ্ছে কর্মীরা। বসন্তের কোকিলদের কখনো দলে ঠাঁই দেয়া যাবেনা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সারা দেশে ব্যপক উন্নয়ন করেছে। দেশে সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। যার কারণে শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে সবচেয়ে সাহসী, সৎ,ও সুশৃঙ্খল নেতা হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থানে তাঁর অবস্থান সুনিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের অভিযাত্রা অতিক্রম করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির বছরব্যাপি ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে দলীয় কর্মসূচী ও ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন,স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু,নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবদুল মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/