বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করলেন নাটোরের প্রতিমা শিল্পী (ভিডিও)
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার
নাটোরে প্রথম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করলেন এক প্রতিমা শিল্পী। জাতির পিতার এই প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে দরাবপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে। প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ পাল এই ভাস্কর্য তৈরি করে সব মহলের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।
নাটোর শহরের লালবাজার এলাকার প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ পাল। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেই তার। প্রতিমা তৈরি করেই জীবন চলে এই শিল্পীর।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেন বিশ্বজিৎ। তাই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। পিতৃহীন বিশ্বজিৎ কাকা ও দাদার পরামর্শে ভাস্কর্য তৈরির কাজও শুরু করেন।
ভাস্কর্য প্রস্ততকারক বিশ্বজিৎ পাল জানান, নাটোরে এই প্রথম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন হলো। বহুদিন থেকে আমার আশা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটা ভাস্কর্য তৈরি করার। আমার আশাটি পূরণ হয়েছে।
বিশ্বজিতের কাকা গোপাল কুমার পাল বলেন, টেকনিক্যাল কলেজের ওরা এসে বললেন বানানম যা হয় হবে। তো বানিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে আর কি।
এমন সময় জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য তৈরি করে দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে এই পাল পরিবারে আসেন নাটোরের দরবারপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জয়নাল আবেদিন।
মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জয়নাল আবেদীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমি আমার এই দেশের আগামী প্রজন্মকে তাদের ধারণ এবং বাহন করার জন্য একটা কাজ করবো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কলেজ চত্বরে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। এই উদ্যোগের জন্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসী।
কলেজ এলাকার বাসিন্দারা জানান, একজন প্রতীমা শিল্পী হয়ে এই ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করেছে, এটা খুবই গর্বের। নাটোর জেলায় প্রথম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন হওয়ায় আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত।
প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিতের প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
নাটর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, এই গুণী শিল্পীর নির্মাণে যদি আমরা কোন সহযোগিতা করতে পারি, সেই চেষ্টা আমরা করবো।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, বিশ্বজিৎ পাল, তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এতো সুন্দর একটা ভাস্কর্য তৈরি করেছেন এবং এই প্রতিষ্ঠান, যারা এটাকে স্থাপন করেছে তাদের প্রতিও ধন্যবাদ রইল।
এই ভাস্কর্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানাতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে, বলছেন জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/