রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
দুই শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দশ হাজারেরও বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে। এই আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু এবং দৌড়াদৌড়ি ও হুড়োহুড়িতে পড়ে হাজারো রোহিঙ্গা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজার শরণার্থীর ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান। আগুনে বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত দুই শিশুসহ ৭ জন রোহিঙ্গা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। মৃতদেহগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
আইএসসিজি-এর কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তাফহিম জানিয়েছে, কুতুপালং বালুখালী ক্যাম্পভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তৈরি একটি শিটের হিসাব অনুসারে বালুখালির ক্যাম্প ৮-ই তে ঘরের সংখ্যা ৬ হাজার ২৫০। আর এতে বসবাস করতো ২৯ হাজার ৪৭২ জন। ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে ঘরের সংখ্যা ৬ হাজার ৬১৩টি, আর লোকসংখ্যা ৩০ হাজার ৭৪৩ জন। ক্যাম্প ৯-এ ঘর ৭ হাজার ২০০টি, এতে বাস করে ৩২ হাজার ৯৬৩ জন এবং ক্যাম্প ১০-এ ঘর ৬ হাজার ৩২০টি, লোকসংখ্যা ২৯ হাজার ৭০৯ জন। তিনি উল্লেখ করেন, অগ্নিকাণ্ডে এই চারটি ক্যাম্পের অধিকাংশ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হারিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে। এছাড়া আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় গ্রামবাসীর বসতভিটায় আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
আশ্রয়হারা রোহিঙ্গারা ঘরের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়েছে তাদের সব মালামালও।
এএইচ/এসএ/