ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার

২৫ শে মার্চ কে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে সারাদেশের ন্যায় 'ওয়ান বাংলাদেশ ' দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় দিনাজপুর  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।  এতে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা শাখা ওয়ান বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, অর্থ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রোজিনা ইয়াসমিন (লাকি) ,শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ড. মো. আবু সাঈদ,  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ এস এম আলমগীর , তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুমন্ত সরকার , দপ্তর সম্পাদক মো. রুবায়েত আল ফেরদৌস নোমান, সদস্য প্রফেসর  মোঃ মিজানুর রহমান (অব.) , প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, প্রফেসর ড. শ্রীপতি শিকদার , প্রফেসর ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম , প্রফেসর ড. মোঃ মফিজউল ইসলাম প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাকিস্তান ২৫ মার্চ রাতে হামলা চালায়। নিরস্ত্র মানুষ হত্যায় তাদের উৎসাহ প্রদান করে ‘বাঙ্গালী জাতির প্রতি তীব্র ঘৃণা’। যেই ঘৃণা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ধীরে ধীরে তৈরি করা হয়েছে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।  পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।“

উপস্থিত ওয়ান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম তার বক্তব্যে বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহ কমিটির নির্দেশনায় ওয়ান বাংলাদেশ ২৫ মার্চ সারাদেশে মানববন্ধন ও শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কার্যক্রম পালন করে। বাংলাদেশের সকল শ্রেনী  পেশার মানুষকে নিয়ে গঠিত ওয়ান বাংলাদেশ মনে করে, দেশের সর্ব পর্যায়ের মানুষের এই দাবি নিয়ে সামনে এগিয়ে আসা উচিত। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এই দুটি দাবিকে সামনে নিয়ে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন  ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চালানো অনেক গণহত্যার থেকেও জঘণ্যতম ছিলো বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে চালানো হত্যাকাণ্ড। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ; যতভাবে সম্ভব জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে। আর সে কারণেই ২৫মার্চকে আন্তর্জাতিকভাবে জেনোসাইড দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা। যাতে এই দিনকে কেন্দ্র করে সকল শোষক শ্রেণীর নির্যাতন ও গণহত্যাকে স্মরণ করে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাতে পারে বিশ্ববাসী।
 
সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া ওয়ান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাতে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়া দাবি ও ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস করার  দাবিতে অনলাইন  সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আরকে//