১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ, পুজারির বিরুদ্ধে মামলা
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২১ রবিবার
মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের নতুন প্রণব মঠের সেবায়েতের (পুজারি) বিরুদ্ধে স্থানীয় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঘটলেও মঠের দায়িত্বে থাকা মন্টু মহারাজ ও স্থানীয়রা সালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে। বিচারের আশায় তাদের পিছনে ঘুরে অবশেষে ২৬ মার্চ রাতে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার মা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার উপেন্দ্র ওরফে পাটানর ত্রিপুরার ছেলে টমেন ত্রিপুরা। সে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের নতুন প্রণবমঠের মন্টু মহারাজের সেবায়েত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কাজের স্বার্থে সে ঐ প্রণবমঠের পাশে একটি টিনের ঘরে বসবাস করেন। সেখানে তার রান্নার লোক ছুটিতে থাকায় ওই কিশোরী সেবায়েতকে কিছুদিন রান্না করে দেন। প্রতিদিনের মতো ৫ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী রান্না করতে গেলে টমেন ত্রিপুরা জোর করে কিশোরীকে তার নিজের থাকার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে এই ঘটনা কাউকে না বলতে কিশোরীকে হুমকি দেয় টমেন ত্রিপুরা।
ঘটনার পর ওই কিশোরী তার পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনা জানান। কিশোরীর পরিবার বিষয়টি প্রণবমঠের দায়িত্বে থাকা মন্টু মহারাজকে জানান। তিনি এর বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিদায় করেন। এরপর থেকে ধর্ষক টমেন ত্রিপুরা পলাতক রয়েছেন। পরে ইউপি সদস্য অমল ভক্তকে জানালে তিনিও বিচার করার কথা বলে ধর্ষিতার পরিবারকে ঘুরাতে থাকে।
দীর্ঘদিন বিচার না পেয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২৬ মার্চ শুক্রবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় সেবায়েত টমেন ত্রিপুরাকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ধর্ষিতা কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে বলেও ধারণা করে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী ধর্ষিতা কিশোরীর মা।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে এক কিশোরীকে সদর হাসপাতালে এনে ধর্ষণের প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ। ঐ কিশোরীর থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিষ্ণুপদ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ বিষয়ে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি বলে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান।
এনএস/