ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ক্ষতি কাটাতে দুই ধরনের চার্জ নির্ধারণ করেছে বেবিচক (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২১ সোমবার

করোনার ধাক্কায় গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব নেমে এসেছে অর্ধেকেরও নীচে। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, ক্ষতি কাটাতে নতুন দুই ধরনের চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে আগের মতোই রাজস্ব আসবে। 

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে সবচে বেশি বিপর্যস্ত এভিয়েশন খাত। গত বছরের ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পহেলা জুন থেকে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হলেও স্বাভাবিক হয়নি আকাশ যোগাযোগ। এই সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধে যাত্রীও কমতে থাকে। এ কারণে গত ৯ মাসে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় কমেছে ব্যাপক হারে। 

সিভিল এভিয়েশনের হিসাবে, ২০২০ সালে করোনার প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮২ টাকা। এর আগে ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয় ছিল ১ হাজার ১৮০ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৫১৯ টাকা। সে হিসেবে ২০২০ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় কমেছে ৬০৫ কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৭ টাকা। 

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, গত বছরের মার্চ থেকে পুরোপুরিই লণ্ডভণ্ড এভিয়েশন খাত। এক পর্যায়ে আয়ও নামে শূণ্যের কোটায়।

এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আগামী বছরের শুরুতেও কিছুটা এ্যাফেক্ট থাকবে। আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত এ ধরনের ৪শ’-৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব কম আসবে।

আকাশ যোগাযোগ চালু হলেও যাত্রী যেমন কমেছে তেমনি কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা। তবে করোনার এই ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা আছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, তবে একটা ভাল দিক আমরা যে নতুন দুটি চার্জ ধার্য্য করেছি, এতে হয়তোবা কিছুটা রিকোভারি হবে। আমরা যে পরিমাণ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি ওই তুলনায় যদি রাজস্ব না বাড়ে তাহলে আমাদের জন্য একটি বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সামনের দিকে।

ফ্লাইট চলাচল কিছুটা বাড়লেও এখনও আগের অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। 

ভিডিও-

এএইচ/