ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরামর্শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার

ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের। এছাড়া আইনী কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগের ঝুঁকির বিষয়টিও বিবেচনার সুপারিশ তাদের। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, ফান্ডটির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে বহুমাত্রিকতা। আইনি বিধি-বিধানের মাধ্যমে মুনাফার প্রকৃত মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে।

কোম্পানির সদিচ্ছার অভাব, বিনিয়োগকারীর মৃত্যু, ঠিকানা পরিবর্তনসহ নানা কারণে অনেক ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পৌঁছায় না। যা ফেরত আসে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। নগদ ও স্টক মিলিয়ে অবণ্টিত মুনাফার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।  

ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড গঠনের মাধ্যমে এসব অবণ্টিত মুনাফা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চায় বিএসইসি। ইতিমধ্যেই আইনী বিধি-বিধানের খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত মালিকের কাছেই এসব মুনাফা পৌঁছানোর পক্ষে।

বিনিয়োগকারীরা জানান, এই ডিভিডেন্টটা কেন বিও অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় না। যদি কোন আইনগত সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে আইনটা পরিবর্তন করলেই পারে। বিও যে অ্যাকাউন্টটা আছে, এই অ্যাকাউন্টে যদি ডিভিডেন্টের টাকা চলে আসে তাহলে তো অন্য কোথাও যাচ্ছে না। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনী কাঠামো তৈরির পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত খাতে এ অর্থ বিনিয়োগ হতে পারে। এছাড়া এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এত বড় ফান্ডের দায়িত্ব দেয়া ঠিক হবে না বলেও মত তাদের। 

ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী বলেন, কোম্পানি থেকে টাকা আনার জন্য এবং যে ইনভেস্টরের টাকা আনছেন সেই কারণে একটা আইন লাগবে। দ্বিতীয়ত, আপনি যাকে দিবেন তাতে কোন লাভ হবে না বরং ওখানে লোকসান হলে আপনি কি করবেন?

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বলেন, বাংলাদেশ সিউকিরিটজ এক্সচেঞ্জ কমিশন এই ডিভিডেন্ট যেটা নাকি হস্তান্তর করা যাচ্ছে না তা দিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করুক। ব্রোকারেস হাউজ এবং মার্চেন্টস ব্যাংকস যারাই চাইবে, তারা এই ফান্ড থেকে অল্প সুদে নিয়ে বাজারে ইনভেস্টমেন্ট করবে।

এদিকে বিএসইসি বলছে, আইনী সুরক্ষা থাকায় কোনভাবেই অবণ্টিত মুনাফার প্রকৃত মালিকরা বঞ্চিত হবেন না। পাশাপাশি কাঠামোগত বহুমাত্রিকতা থাকবে ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ডের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারে। 

বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, এই ডিভিডেন্টের মালিকানা কোনভাবেই কোন প্রতিষ্ঠান এটিকে বাজেয়াপ্ত বা নিয়ে চলে যাচ্ছে না। এটি কেবলমাত্র স্থানান্তিরিত হচ্ছে। এর জন্য দক্ষ ও উচ্চমান সম্পন্ন কমিটির স্ট্রাকচার তৈরি করিছি, যেটি আমাদের আইনের মধ্যে আছে। সেটির মাধ্যমে এটি পরিচালিত হবে। সেখানে বিসিক যেমন সংযুক্ত থাকবে একই সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বিভিন্ন পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান।

পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত অবস্থায় রয়েছে, যাতে পাওয়া গেছে এই বিপুল পরিমাণ অবণ্টিত মুনাফার খোঁজ।
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/