পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গোর উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি এখনো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে প্রায় ৪'শ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এম,ভি ইফসিয়া মাহিনের উদ্ধার কাজ এখনও শুরু হয়নি। এমনকি এখনও শুরু হয়নি ডুবন্ত জাহাজের ঘটনাস্থলে মার্কিং স্থাপনের কাজও। ফলে ওই নৌপথ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন দাবি করেন, মূল চ্যানেল থেকে প্রায় আড়াই’শ মিটার বাহিরে পশ্চিমে দিকে কার্গো জাহাজটি ডুবে গেছে। তাই বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে এম.ভি ইফসিয়া মাহিন নামক কার্গো জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে পশুর চ্যানেলের বানাশীন্তা বাজার বয়ায় অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সেখানে থাকা অবস্থায় প্রবল স্রোতে ওই বয়া থেকে সকল জাহাজের রশি ছিড়ে যায়। এরপর জাহাজগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপদে সরে যাওয়ার সময় একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগে এম.ভি ইফসিয়া মাহিন জাহাজের। এতে জাহাজের বাম পাশের হ্যাচ ফেটে যায়।
এরপর জাহাজটি ভাসতে ভাসতে পশুর নদীর কাটাখালী অর্থাৎ বন্দর জেটির পশ্চিম পাশে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটি উদ্ধার ও ডুবন্ত জাহাজ এলাকায় মাকিং স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে এরও প্রায় এক মাস আগে পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন বলেন, পশুর নদীর কাটাখালী এলাকায় মঙ্গলবার ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির স্থলে বুধবার মার্কিং স্থাপন করা হবে। প্রবল স্রোতের কারণে মঙ্গলবার বিকেলে মার্কিং স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া কার্গো জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। মালিকপক্ষ চেষ্টা করছেন ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জামাদী সংগ্রহ করে কাজে নেমে পড়তে। তাদেরকে সহায়তায় জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এক মাস আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ উদ্ধার সম্পর্কে হারবার মাষ্টার বলেন, এখন পর্যন্ত জাহাজটির উদ্ধারের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ কাজ করতে গিয়ে দুটি উদ্ধারকারী দল ব্যর্থ হয়ে চলে গেছে। এখন তৃতীয় দল কাজ করছে। পানির প্রচন্ড স্রোতের কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি,অল্প সময়ের মধ্যে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হলে ডুবন্ত জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
কেআই//