ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ, উদাসীন মানুষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৩৮ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২১ শনিবার

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি জনগণকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্যে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ তাদের। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনা অতটা স্পষ্ট নয়। তাই এ নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন কঠিন।

মাঠের দৃশ্য বলছে, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীন মানুষ। যে কারণে সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত পাঁচ দিনে ২৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার লোক। করোনা সংক্রমণের এক বছরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও মানুষের আচরণের পরিবর্তন সম্পর্কে জানালেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ ড. তৌফিক জোয়াদ্দার।

তিনি বলেন, আমরা ঠিক একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি, যা এক বছর আগে এই মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে দেখেছিলাম। এতে তো কোনও পরিবর্তন দেখছি না। আমরা তো কোনও স্ট্রাকচারাল পরিবর্তন আনছি না। তবে বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে দেখভাল হবে।

এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, তবে আমাদের কথা হচ্ছে- সাধারণভাবে কেউই বাসার বাইরে যাবে না। যদি যেতেই হয়, ৩-৬ ফিট বা ১-২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাত-মুখ ভালোভাবে ধৌত করতে হবে।

দ্বিতীয় তরঙ্গেও মূল সমস্যা, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে চলে গেছে ইউকে ভেরিয়েন্ট। তাই সংক্রমণ রোধে বিদেশে থেকে আসা মানুষদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা আর সমাধান নয়। মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর কড়াকড়ি জরুরি। 

সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্ত শনাক্ত করার মতো জনবল নেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের। তাই, ভেরিয়েন্ট এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ প্রতিদিনই নির্দিষ্ট হারে জিনোম সিকোয়েন্সিং এর পরমর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এ অবস্থায় টিকা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো গেলে সংক্রমণ কমার পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুকি কমবে বলেও মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

ভিডিওতে দেখুন- 

এনএস/