ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২১ রবিবার

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫শ’ জনে। 

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শনিবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৭৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ২৩২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ২১৯ জন এবং আট উপজেলার ১৩ জন। 

এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে মোট ৪১ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৩৩ হাজার ১০২ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ৩৯৮ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে, রাউজানে ২ জন, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলায় গতকাল করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৩৯৩ জন। এর মধ্যে ২৮৯ জন শহরের ও ১০৪ জন গ্রামের। গতকাল সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৭৩ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ২৭৩ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৮ জন ও ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৯ হাজার ৬২৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২২৯ জন।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা আর ঘটেনি। এ মাসের প্রথম দিন একজনের মৃত্যু হয়। ২ জন মারা যান ৩১ মার্চ। গত মার্চ মাসে জেলায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দুই জন করে মারা যান ১৩, ১৫ ও ৩১ মার্চ। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩ জনের মৃত্যু হয় সর্বশেষ গত বছর ২১ ডিসেম্বর। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর এদিনই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু ঘটে।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ৭ জনসহ ৯২ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৮১ জনের নমুনার মধ্যে নগরীর ১৪ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৬ জনের নমুনায় গ্রামের ৩ জনসহ ৫৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আরটিআরএলে ৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ১ টিসহ ২৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।

বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ২টিসহ ৪৬টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইম্পেরিয়ালে হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডিতে ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৯১, সিভাসুতে ৩৮ দশমিক ৩৫, আরটিআরএলে ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, শেভরনে ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

এএইচ/