লকডাউনের মধ্যে বইমেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২১ রবিবার
সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলেও চালু থাকছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বেলা ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বইমেলা চলবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এই মেলাকে শিল্প-কারখানা খোলা রাখার সঙ্গে তুলনা করছে।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ই এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সরকার। এই সময় সকল প্রকার পরিবহন, জরুরি সেবা ছাড়া অফিস, শপিংমল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তার মধ্যেই বইমেলার মতো একটি বড় আয়োজন খোলা থাকার সিদ্ধান্ত এলো।
বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লকডাউনের মধ্যেও দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। সরকারের সিদ্ধান্ত, মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেটা কার্যকর করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই বইমেলা খোলা রাখার চেষ্টা করছি। যেভাবে সরকার গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ও অন্যান্য শিল্প-কারখানা খোলা রাখছেন, সেইভাবে বইমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সরকারই নিয়েছে। আমরা শুধু সেটা এক্সিকিউট করছি।’
কিন্তু যেখানে লকডাউন চলার সময় সবাইকে ভোর ছয়টা থেকে বিকাল ছয়টা পর্যন্ত সবাইকে ঘরের ভেতর থাকার জন্য বলা হয়েছে, সেখানে বইমেলা খোলা থাকলেও বইমেলায় মানুষ কীভাবে আসবে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক বলছেন, ‘সেটা তো আমার পক্ষে বলা মুশকিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং মন্ত্রণালয় ও সরকারের সিদ্ধান্ত, ১২টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।’
বাংলাদেশে প্রকাশনা জগতের বিক্রি-বেচার সবচেয়ে বড় অংশটি এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বইমেলা খোলা রাখার বিষয়ে প্রকাশকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। এই কারণে লকডাউন থাকলেও বইমেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এই বছর বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার প্রস্তাব উঠেছিল। তবে প্রকাশকদের দাবির মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বরে গত ১৮ই মার্চ ৩৭তম অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়।
সেই সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করবেন তবে করোনা সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং মেলা স্থগিত হতে পারে। (সূত্র: বিবিসি বাংলা)
এএইচ/