ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

চরম সংকটে দেশের চামড়া শিল্প খাত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০১:৫৪ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি চালু না হওয়ায় এখনো পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হয়নি দেশের চামড়া শিল্প। এতে ইউরোপ-আমেরিকায় সরাসরি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর করোনা মহামারি, নতুন করে লকডাউনে দেশ। উদ্বেগ আছে আগামী কোরবানির ঈদের পশুর চামড়া নিয়েও। সব মিলিয়ে সংকটে দেশের চামড়া শিল্পখাত। 

২০১৩-১৪ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের আয় হয়েছিল ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। ক্রেতা-চাহিদা অনুযায়ী সিইটিপি চালু এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত না হওয়ায় উন্নত দুনিয়ায় চামড়া ও চমড়াজাত পণ্যের সরাসরি রপ্তানির সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। এতে সংকটে পড়ে সম্ভাবনাময় এ খাত।

ছয় বছর পরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এখাতের রপ্তানি আয় শূণ্য দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবারের মতো আসছে কোরবানি ঈদেও কাঁচা চামড়ার বড় জোগান তৈরি হবে। যা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে বাড়তি উদ্বেগে পড়েছেন শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীরা।  

বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ২৭৫ জনের আড়তদারের মধ্যে এনলিস্টেট যারা যারা আছেন তাদের কাছে ১৫২ কোটি টাকা আমরা পাবো। টাকার এই সংকট আগামীতে আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা আছে। ব্যাংক বলবে ভালো ট্যানারি নেই, তাদেরকে কিভাবে টাকা দিব। ট্যানারিরা আমাদের র-হাইডেটের টাকাগুলো নিয়ে ৮ থেকে ১০ বছর যাবত ঘোরাচ্ছে।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, গত বছরের সব পণ্য এখনো বিক্রি করতে পারেনি অনেক কারখানা। তারপরও দায়-দেনা পরিশোধের চেষ্টা চলছে। 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারে আমাদের শিল্পনগরী যেটা আছে, সেটার যদি বিসিক রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করে তাহলে আমরা করি ব্যাংকে মর্গেজ রেখে মালিকরা লোন নিতে পারবে। সহজভাবে লোন নিয়ে তারা চামড়াগুলো সংগ্রহ করতে পারবে এবং পূর্বের যে বকেয়া আছে সেগুলো আস্তে আস্তে তারা পরিশোধ করতে পারবে।

করোনা সংকট কেটে গেলেও, কমপ্লায়েন্স বা মান্যতা নিশ্চিত না হলে দেশের চামড়া শিল্পের বিদ্যমান সংকট কাটবে না বলেও আশঙ্কা টেনারি মালিকদের।  

শাহীন আহমেদ আরও বলেন, চামড়াশিল্প ভয়াবহ সংকটের মুখে আছে। যে পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও সলিট ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ঠিক না হবে এবং আমরা যে পর্যন্ত কমপ্লায়েন্সের অন্যান্য ক্যাটেরিয়াগুলো ফুলফিল করতে না পারবো সে পর্যন্ত কিন্তু শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয় আমেরিকা, ফারইস্টের যে দেশগুলো আছে সেসব দেশগুলোতেও চামড়া বিক্রি করতে আমাদের সমস্যা হবে।

এরই মধ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে সরকার। তবে, অবকাঠামো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় এর সুফল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় চামড়া খাতের উদ্যোক্তারা।
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/ এসএ/