ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাবির সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক ইমন গ্রেফতার 

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মামলায় ফারুক ইমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সাবেক এই সভাপতিকে টাঙ্গাইল কালিহাতীর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বিরোধী আন্দোলন করায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার একটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর একটি চলমান, সেই মামলায় ফারুক ইমনকে গ্রেফতার করা হয়।

ফারুক ইমনকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

এক যৌথ বিবৃতিতে রাবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, রাবির শিক্ষার্থীদের সামর্থে্যর কথা বিবেচনা না করে বেতন ফি বৃ্দ্ধি করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্টিফিকেট বিক্রির দোকান বানানোর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। ঠিক তখনই সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে ছাত্র নেতা ফারুক ইমন, গোলাম মোস্তফা, উৎসব মোসাদ্দেকসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরিয়াল বডি সশস্ত্রভাবে ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এতে আন্দোলন আরো তীব্র হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ছাত্রনেতৃবৃন্দের উপর মামলা করে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। সেই মামলার একটি নিষ্পত্তি হয় এবং অপরটি এখন চলমান। 

তারা আরও বলেন, চলমান মামলা থেকে ফারুক ইমনের উপর ওয়ারেন্ট জারি করে নিজ বাড়ি থেকে রাতের আধারে তাকে গ্রেফতার করা হয়। করোনাকালীন এই কঠিন পরিস্থিতিতে যখন সব কিছু বন্ধ ঠিক এই সময় তাকে গ্রেফতার করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তার পরিবারকে হেনস্থার মধ্যে ফেলা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে ফারুক ইমনকে এভাবে হেনস্থা করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি, অন্যথায় আবারও আন্দোলন গড়ে তুলবে শিক্ষার্থীরা। 
এএইচ/এসএ/