ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

কাজের চাপে বোতলে প্রস্রাব করেন অ্যামাজন কর্মীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

কাজের চাপ, তাই সময় বাঁচাতে বোতলেই প্রস্রাব সারেন অ্যামাজন কর্মীরা! এমন অভিযোগ প্রথমে নাকচ করলেও পরে স্বীকার করে নিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট৷ এই ঘটনায় প্রথমে মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্য টুইট করে ক্ষোভ জানান অ্যামাজনের বিরুদ্ধে। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক৷ শেষ পর্যন্ত জায়ান্ট কোম্পানিটি স্বীকার করে নিল, আমেরিকায় তাদের কোনও কোনও ড্রাইভারকে অবস্থা বিশেষে বোতলে প্রস্রাব করতে হয়।

সম্প্রতি অ্যামাজনের এক প্রাক্তন কর্মী তথা ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমস ব্লাডওয়ার্থ অ্যামাজনের ওপর একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, তাকেও অ্যামাজনে থাকার সময় একাজ করতে হয়েছে। পরে টুইটারেও একই দাবি করেন তিনি। অথচ এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহান বলে উড়িয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ ক্লার্ক। এমনকি কর্মীদের প্রতি ঘণ্টায় ১৫ ডলার পারিশ্রমিক দেন বলেও জানান তিনি। 

এরপরই মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য মার্ক পোক্যান টুইটারে ক্লার্ককে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ঘণ্টায় ১৫ ডলার দেওয়ার মানে এই নয় যে, আপনাদের কাজের পরিবেশ অত্যন্ত প্রগতিশীল। সংস্থার কাজের চাপে সময়ের অভাবে কর্মীদের বোতলে প্রস্রাব করতে হয়, সেখানকার কাজের পরিবেশকে ভালো বলাই যায় না৷’

যদিও এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় অ্যামাজনের কর্মীরা মুখ খোলার পর। সংবাদ মাধ্যমের সামনে সংস্থার বহু কর্মী বলেন, প্রকৃতির ডাক উপেক্ষা করা অসম্ভব৷ তাই উপায় না থাকায় অনেক সময় বোতলেই প্রস্রাব করতে হয়৷

শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে অভিযোগের সত্যত্যা স্বীকার করে ই-কমার্স জায়ান্ট। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা জানি আমাদের ড্রাইভারদের অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যখন শৌচাগারই পাওয়া যায় না। বিশেষ করে ট্র্যাফিকে আটকে গেলে বা কোনও গ্রামীণ এলাকায় গেলে যেখানে শোচাগারই নেই। এমনকি কোভিডের সময় বহু শৌচাগার বন্ধ থাকায় এই সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল।’ 

তবে এটা কেবল অ্যামাজনের নয়, বরং এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা বলেও দাবি করেছে তারা। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।’ 
এএইচ/এসএ/