ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আইপিএলে শুভ সূচনা সাকিবের কলকাতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

আইপিএলের ১৪তম আসরের প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়া করে জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু কেকেআরের সঙ্গে পারলো না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিষেধাজ্ঞার কারণে গত আসরে খেলতে পারেননি সাকিব। তবে এবার ফিরেই প্রথম বলে উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার।

চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮৭ রান করে কলকাতা। লক্ষ্যে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানে থামে সানরাইজার্স। তাতে ১০ রানের জয় দিয়ে আইপিএল শুরু হলো সাকিবদের।

জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ৫৫ রান এবং মানিশ পান্ডের অপরাজিত ৬১ রানেও জয় এল না সানরাইজার্সের। শেষ ৬ বলে ২২ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের বুদ্ধিমত্তার কাছে হার মানে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সানরাইজার্স। ১০ রানে হারায় উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে। ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৩ রান। ঋদ্ধিমান সাহা করেন ৭ রান। তবে প্রথম ওভারে ছক্কা মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ঋদ্ধিমান। কিন্তু তৃতীয় ওভারে বল হাতে আসেন সাকিব, আর প্রথম বলে বাজিমাত করেন। ঋদ্ধিমানের ব্যাট ছুঁয়ে বল নিচু হয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন সাকিব।

এরপর ৯২ রানের জুটি বাধেন বেয়ারেস্ট আর মানিশ পান্ডে। এক সময় তো কেকেআরের জয়ই সুদুরপরাহত মনে হচ্ছিল। কিন্তু প্যাট কামিন্স এসে জুটি ভাঙেন। ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান বেয়ারেস্ট। মোহাম্মদ নবি করেন ১৪ রান। বিজয় শঙ্কর করেন ১১ রান।

শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। ১৯তম ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ২২ রানে নামান আব্দুল সামাদ। কিন্তু শেষ ওভারটি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করেন রাসেল। ওই ওভারে মাত্র ১১ রান নিতে সক্ষম হয় মনিষ-সামাদ। যদিও শেষ বলে ছক্কা হাঁকান মানিশ, তাতে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপরদিকে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে যান আবদুল সামাদ।

কেকেআরের হয়ে ২ উইকেট নেন প্রাসিদ কৃষ্ণা। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, প্যাট কামিন্স এবং আন্দ্রে রাসেল। 

এর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে কেকেআর। ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন নিতিশ রানা। শুভমান গিল করেন ১৫ রান। রাহুল ত্রিপাথি করেন ৫৩ রান।

ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই চার মেরে শুরু। এরপর সন্দীপ শর্মার দুই ওভারে ছয় বলের মধ্যে পাঁচটি বাউন্ডারি। নিতিশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন এমন মারকুটে। নিতিশ পাওয়ার প্লেতেই দলকে এনে দেন ৫০ রান, সঙ্গে ছিলেন শুভমান গিল। ব্যক্তিগত ১৫ রানে রশিদের কাছে বোল্ড হয়ে ফেরেন গিল। নিতিশকে সঙ্গ দিতে নামেন রাহুল ত্রিপাঠী। ২৮ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ফিফটি করার পরের বলেই টি নটরাজনের শিকার হন ত্রিপাঠী। ৫০ বলে ৯৩ রানের এই জুটি ভাঙার পর বড় ধাক্কা খায় কলকাতা।

মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে রাসেল, নিতিশ ও মরগ্যান বিদায় হন। রশিদ ৫ রানে ফেরান রাসেলকে। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দেন নিতিশ, ৫৬ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৮০ রানে থামেন কলকাতা ওপেনার। পরের বলে মরগ্যানের (২) ক্যাচ নেন সামাদ।

কার্তিকের সঙ্গে শেষ বল পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন সাকিব। সাত নম্বরে নেমে বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে থাকা কার্তিক মেরে খেলেন। শেষ বলে সাকিব ভুবনেশ্বরের শিকার হন। ৫ বলে ৩ রানে সামাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন কার্তিক।

হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়ে সেরা বোলার দুই আফগান স্পিনার রশিদ ও নবী।
এএইচ/এসএ/