ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফুলবিজু ও হারি বৈসুক উৎসব পালন করলো রাবিপ্রবিয়ানরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের মহা উৎসব বৈসাবি। চাকমা জনগোষ্ঠী উৎসবের প্রথম দিন “ফুলবিজু” ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এদিন পানিতে ফুল ভাসিয়ে পালন করে “হারি বৈসুক”। প্রতি বছর পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজুকে ঘিরে উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠে পাহাড়ি জনপদ। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সে আনন্দে অনেকটা ভাটা পরেছে। 

পার্বত্য তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্যতম রাঙ্গামাটি এখন যেন উৎসবের নগর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে উৎসব থেকে দূরে নেই রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পানিতে ফুল ভাসিয়ে রাবিপ্রবিয়ানরা পালন করেন ”ফুলবিজু ও হারি বৈসুক”। বাংলা নববর্ষ, বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জাতি সত্তার সামাজিক উৎসব উপলক্ষে ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে রাবিপ্রবি প্রসাশন। 

এদিকে বৈসাবি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সি এস ই বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক সজীব ত্রিপুরা। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন” নববর্ষের নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে নতুন উদ্যোগে, নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোক সবাই। আমি রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দদের শুভেচ্ছা জানাই। সকলের সাথে স্ববান্ধবের সহিত পুরাতন সকল দুঃখ, কষ্ট, না পাওয়াকে ভুলে নতুন প্রণোদনায়, নতুন কল্যাণকর কিছু জয় করার মাধ্যমে একসাথে যেন আবারও পথ চলতে পারি। করোনা পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারণ, সবার নিরাপত্তাসহ দেশ ও বিশ্বের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি”।

বৈসাবি উৎসবে পাহাড়ি, বাঙ্গালির মেলবন্ধনে নতুন রঙ খুঁজে পায় রাবিপ্রবি। শুধু আচার, অনুষ্ঠান ও প্রথা নয় বরং পারস্পরিক সহযোগীতা ও ভালবাসায় সম্পৃতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে ওঠে কাপ্তাই লেকে ঘেরা, পাহাড়ের চাদরে মোড়ানো রাবিপ্রবি।
কেআই//