ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিদেশগামী কর্মীদের ফ্লাইট চালু রাখার দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:১৩ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীর বিদেশ যাত্রা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে উল্লেখ করে এক সপ্তাহের লকডাউন চলাকালে বিদেশগামী এসব কর্মীদের ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলাদা সংবাদ সম্মেলনে বায়রা নেতারা এ দাবি জানান।

উভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এক সপ্তাহের জন্যে আন্তর্জাতিক ফাইটে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সময়মতো না যেতে পারলে নিয়োগকর্তা চাহিদাপত্র বাতিল করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফাইট বন্ধ করে দিলে কর্মী নেওয়া দেশগুলো যখন জানবে, করোনা মহামারির জন্যে ফাইট বন্ধ করা হয়েছে, তখন আন্তর্জাতিক ফাইট চালু করে দেওয়ার পরেও কর্মী নেওয়া দেশগুলো কর্মী নিতে অনীহা পোষণ করতে পারে।

বায়রা নেতারা মহামারির এই সময়ে লকডাউন চলাকালীন পরিস্থিতিতে বিদেশগামী কর্মীদের কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ফাইট বন্ধ না করে বরং জনশক্তি পাঠানো এই খাতকে ‘জরুরি সেবা খাত’ হিসেবে ঘোষণা করে তা লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রার পে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাবেক অর্থসচিব ফখরুল ইসলাম। 

বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, এক সপ্তাহের জন্যে সব আন্তর্জাতিক ফাইট বন্ধের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বিদেশগামী বাংলাদেশি শ্রমিকের নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। তাদের সবাই অধিক মূল্যে ফাইটের টিকিট সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া, আরও হাজারো বিদেশগামী কর্মী টিকিটের অপোয় আছেন। ফলে হঠাৎ ফাইট বন্ধের ঘোষণায় বিদেশ গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সংশ্লিষ্ট সবাই উৎকণ্ঠা ও হতাশায় নিমজ্জিত।

বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সব ফাইট বন্ধ করা হলে মারাত্মক তি হবে বিদেশগামী কর্মী, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সর্বোপরি দেশের। কাতার ও ওমানগামী হাজারো যাত্রী লাখো টাকা দিয়ে কোয়ারেন্টিনের জন্যে হোটেল বুকিং করে রেখেছে সেসব দেশে যেগুলো নন-রিফান্ডেবল। এতে তাদের বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে।

বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ কর্মী পাঠানো দেশগুলো লকডাউনের মধ্যেও জরুরি খাত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে যাবে।

আরকে//