ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কলকাতার অবিশ্বাস্য হার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হলে যেন হারতেই হবে কলকাতাকে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মুম্বাইকে ১৫২ রানে বেধে ফেলেছিল কেকেআর বোলাররা। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা এই সহজ লক্ষ্য টপকাতে পারেনি, থেমে যায় ১৪২ রানে। যদিও তাদের শুরুটা ভালোই হয়েছিল, তারপরও ১০ রানে হারতে হলো শাহরুখ খানের দলটিকে।

চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে রাসেলের বোলিং তোপের মুখে  ১৫২ রানের বেশি করতে পারেনি মুম্বাই। জবাবে রাহুল চাহারের স্পিন ধসে ৩ উইকেট হাতে রেখেই ১৪২ রানে থামতে হয় কলকাতাকে।

১৫৩ রানের লক্ষ্যে নিতিশ রানা ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটির শুরুটা হয় দাপুটে। পাওয়ার প্লেতে এই জুটি করে ৪৫ রান। নবম ওভারে চাহার বলে শুভমান গিল ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় আউট হন। তাতে ৭২ রানে প্রথম উইকেট হারানো কলকাতার ১২২ রানেই নেই ৪ উইকেট। রাহুল ত্রিপাঠী (৫) ও অধিনায়ক মরগ্যানকে (৭) মাঠছাড়া করেন মুম্বাইর এই স্পিনার। আর ৪৭ বলে ৫৭ রান করা নিতিশকে চতুর্থ শিকার বানান চাহার। 

রোহিত শর্মাকে প্রথম বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেন সাকিব আল হাসান, কিন্তু ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তার আগে ৯ বলে ৯ রান করেন সাকিব। চাপে পড়া কলকাতার হাল ধরেছিলেন দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। দুইবার জীবন পেয়েও নায়ক হতে পারেননি রাসেল। দলীয় সংগ্রহে মাত্র ৯ রান যোগ করতে পারেন এই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান।

শেষ দুই ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল কলকাতার। ১৯তম ওভারে বুমরা প্রথম মাত্র ৪ রান দিয়ে চাপে ফেলেন কলকাতাকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ২০তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট প্রথম দুই বলে একটি করে রান দেওয়ার পর পরের বলে রাসেলকে (৯) ফেরান। নতুন ব্যাটসম্যান প্যাট কামিন্স এসেই বোল্ড হন। তখন দুই বলে কলকাতার দরকার ১৩ রান। হরভজন সিং নেমে পঞ্চম বলে দুই রান নেন। তাতে কলকাতার শেষ বলে ১১ রান দরকার, যা ছিল অসম্ভব।

মুম্বাইর হয়ে রাহুল চাহার ২৭ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট নেন ২ উইকেট। ক্রুনাল পান্ডিয়া নেন ১ উইকেট।

এর আগে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারিয়ে শুরু করে মুম্বাই। এরপর রোহিত শর্মা আর সুর্যকুমার যাদব ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। তাদের ৭৬ রানের জুটি বড় স্কোরের ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। কিন্তু এই জুটি ভাঙেন সাকিব। সুর্যকুমার যাদব সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ৩৬ বলে। ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

এছাড়া ৪৩ রান করেন রোহিত শর্মা। ৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা একটি। ১৭ বলে ১৫ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ৯ বলে ১৫ রান করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১৮তম ওভারে রাসেলকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মরগ্যান। বোলিংয়ে এসেই নিজের প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে ১০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স :

২০ ওভারে ১৫২ (রোহিত ৪৩, ডি কক ২, সূর্যকুমার ৫৬, কিষান ১, হার্দিক পান্ডিয়া ১৫, পোলার্ড ৫, ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৫, ইয়ানসেন ০, চাহার ৮, বুমরাহ ০, বোল্ট ০*; হরভজন ২-০-১৭-০, বরুন ৪-০-২৭-১, সাকিব ৪-০-২৩-১, কামিন্স ৪-০-২৪-২, প্রসিধ ৪-০-৪২-১, রাসেল ২-০-১৫-৫)

কলকাতা নাইট রাইডার্স :

২০ ওভারে ১৪২/৭ (রানা ৫৭, শুভমান ৩৩, ত্রিপাঠি ৫, মর্গ্যান ৭, সাকিব ৯, কার্তিক ৮*, রাসেল ৯, কামিন্স ০, হরভজন ২*; বোল্ট ৪-০-২৭-২, ইয়ানসেন ২-০-১৭-০, বুমরাহ ৪-০-২৮-০, ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪-০-১৩-১, পোলার্ড ১-০-১২-০, চাহার ৪-০-২৭-৪), রোহিত ১০-০-৯-০)

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল চাহার।

আইপিএলের চলমান আসরে মুম্বাই ও কলকাতা উভয় দলই দুই ম্যাচ মোকাবেলায় একটি করে জয় পেয়েছে। প্রথম দেখায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারে মুম্বাই। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এএইচ/