লকডাউনের মধ্যেও টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার
রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ এর মধ্যেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে টিসিবি।
এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, জরুরি সেবা হিসেবে লকডাউনের মধ্যে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা পণ্য বিক্রি করবে।
পবিত্র রমজানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে টিসিবি প্রতিদিন ৫০০টি ভ্র্যম্যমান ট্রাকে টিসিবির ছয়টি পণ্য বিক্রি করছে। রাজধানীর ১০০টি স্পটে ১০০টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির ট্রাকে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল ৫৫ টাকা কেজি এবং খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ২০ টাকা। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ লিটার তেল, চার কেজি করে চিনি, ছোলা ও মসুরের ডাল কিনতে পারছেন। এছাড়াও ১ থেকে ২ কেজি খেজুর কিনতে পারছেন।
রমজানে টিসিবির প্রস্তুতির বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা সরকারি বিক্রয়কারি সংস্থা টিসিবির সক্ষমতা বাড়িয়েছি। এর জন্য মাথায় রেখেছি, বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্যের হারকে। এই হার এখন ১২ শতাংশ। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুতে রয়েছে।
পবিত্র রমজান মাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টিসিবি গত ১৭ মার্চ থেকে স্বল্প মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে। প্রথম দিকে ৪০০টি ভ্রাম্যমান ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করলেও পরবর্তীতে টিসিবির বিপণন কার্যক্রম জোরদার করা হয় এবং ট্রাকের সংখ্যা ৫০০ করা হয়েছে।
এদিকে, রমজান মাস ও লকডাউনের সুযোগে কোন ব্যবসায়ি যেন অসাধুপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্থিতিশীল করতে না পারে, এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ৩৪টি মনিটারিং টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত বাজার তদারকি করছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও নিয়মিত বাজার তদারকি করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সূত্র : বাসস
এসএ/