ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

অস্তিত্ব সংকটে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

করেনার বিরূপ প্রভাবে অস্তিত্ব সংকটে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো। একদিকে প্রনোদনা মেলেনি, অন্যদিকে কবে ব্যবসা স্বাভাবিক হবে তাও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা। পরিস্থিতি এমন যে সরকারি সহায়তা না পেলে অধিকাংশ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। 

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিবছর দেড় থেকে দুই লাখ পর্যটক আসেন বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশ থেকে নানা দেশে ভ্রমণে যান অন্তত ২০ লাখ মানুষ। এর বড় অংশকেই সেবা দেয় ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো। 

করোনা সংকটে বড় ধাক্কা লাগে পর্যটন খাতে। আর সবার আগে বন্ধ হয়েছে অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো। ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) বলছে, ২০২০ সালে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি নতুন করে শুরু হয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ শিল্পে গতি ফিরতে সময় লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা টোয়াবের।

টোয়াব সহ-সভাপতি শিহাবুল আজম কোরেশি বলেন, পর্যটন শিল্পনা করোনা বা যে কোন আপাতকালীন সময়ে সবার আগে বন্ধ হয়ে যায় এবং শুরু হয় সবার শেষে। কারণ সবকিছুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরে মানুষ বেড়ানোর চিন্তা করে। এজন্য অন্যান্য শিল্পের তুলনায় আমরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

টোয়াব সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, অফিস বন্ধ করে দিতে হচ্ছে, কেউ কেউ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই করে দিচ্ছে। একেকটা ট্যুর অপারেটর, একেকটা ট্যুর গাইড, একেকটা ট্যুর ম্যানেজার একটা সম্পদে পরিণত হওয়া। এখন যদি সে স্যুইজ করে অন্য পেশায় চলে যায় তাতে বাংলাদেশ ট্যুরিজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সরকার সেবা খাতের জন্য প্রনোদনা ঘোষণা করলেও, ঝুঁকি বিবেচনায় ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করেনি ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সরকারের বিকল্প সহায়তা চাইছেন তারা।

শিহাবুল আজম কোরেশি আরও বলেন, যারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছেন, তাদের কর্মচারীদেরকেও বিদায় করেছেন। এছাড়া যারা এখনও প্রতিষ্ঠান চালু রেখেছেন তারাও কিন্তু অনেক কর্মচারীকে বিদায় করতে বাধ্য হয়েছেন। আসলে যে কোন পেশায় দক্ষতা একটা বিশেষ ফ্যাক্টর। এই যে স্টাফদেরকে আমরা ছেড়ে দিলাম এদেরকে কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছিলাম।

মো. রাফিউজ্জামান বলেন, এই শিল্পটুকুর ১১৩টি সাব-সেক্টর, এই শিল্পটুকু শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করে কোন প্রকার পলিউশন ছাড়া। সেই শিল্পটুকু কোন প্রকার সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া, কোন প্রকার নজরদারী ছাড়া এই শিল্পে এতোগুলো মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করবে।

করোনা পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারলে, টোয়াব সদস্যরা আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মস্থানে বড় ভূমিকা রাখবে। 
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/