ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ৩০ ১৪৩১

বর্ষবরণে চারুকলায় সারারাত ধরে আড্ডা দিতাম: মিথিলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

নববর্ষ বাঙালীর প্রাণের উৎসব। এই উৎসব নিয়ে রয়েছে অনেকের আনন্দমাখা স্মৃতি। রাফিয়াত রশিদ মিথিলারও রয়েছে নববর্ষ নিয়ে অনেক স্মৃতি। সে সময়ের কথা এভাবেই ব্যক্ত করেছেন মিথিলা-

বাংলাদেশের নববর্ষের মত এত বর্ণিল, এত উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়ত পৃথিবীর আর কোথাও হয়না। সারা বছর আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকি। কবে নববর্ষ আসবে আর ওই দিন ভোরবেলা উঠে লালপাড় সাদা শাড়ি পরে রমনা পার্কে যাব পান্তা ইলিশ খেতে।

এবছর আমি দেশেই আছি। তবে এবার বাংলাদেশের নববর্ষ ও রমজানের শুরু একই দিনে। বাংলাদেশের কোভিডের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে ভীষণ কড়া লকডাউন রাখা হয়েছে। এবার তাই নববর্ষটা সেভাবে উদযাপিত হবে না। সকলে বাড়িতেই থাকব। নিজের বাড়িতেই ভোরবেলা উঠে পান্তা-ইলিশ খাব। নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে আমার ছোটবেলার স্মৃতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে শাড়ি পরে রমনা বটমূলে যেতাম। সেখানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ‘এসো হে বৈশাখ’ গানে বর্ষবরণ শুরু হতো। সেই সঙ্গে পান্তা-ইলিশ আর নানাধরণের ভর্তার আয়োজন তো থাকতোই। আর নববর্ষে নতুন শাড়ি-জামা, চুড়ি তো থাকতেই হতো।

তবে আমার নববর্ষ সবচেয়ে সুন্দর সময় কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়ি তখন। বর্ষবরণের আগের রাতে চারুকলায় সারারাত ধরে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন দেখা...বন্ধুদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান করা, ভোরবেলা উপচে পরা ভিড়, মঙ্গল শোভাযাত্রার অংশ হওয়া। সাদা শাড়ি-লালপাড় পরে বন্ধুদের সঙ্গে গালে আল্পনা এঁকে গান আর আড্ডা।

এবার কোভিডের কারণে সেভাবে নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে না। তবে আমার মেয়ে আইরার জন্য একটা নতুন জামা আমার বোন দিয়েছে। আর বাড়িতে পান্তা আর ভর্তার আয়োজন হয়েছে। ইচ্ছে ছিল কখনো সৃজিত আর ওখানকার পরিবারের সকলকে নিয়ে বাংলাদেশের বর্ষবরণটা একসঙ্গে পালন করবো। এবার সম্ভব নয়, দেখা যাক সেটা কবে হয়।

এসি