ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ২৪ হেফাজত কর্মী গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:০৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে থেকে শুক্রবার সকালে পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা সবাই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক। এ নিয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় মোট ২৬১ জন গ্রেফতার হয়েছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যমকর্মী কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত আরো ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক। এনিয়ে এসব ঘটনায় মোট ২৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাণ্ডবের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি। ৫৫টি মামলায় এজাহারনামীয় ৪১৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালে পর্যন্ত মামলার ২৬১ জন আসামীকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ আসামীদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদেরকে গ্রেফতার করছে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ নিয়ে মোট ২৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী রয়েছে।  তিনি বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধ-শতাধিক স্থাপনা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করে।
কেআই//