ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে চলছে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন (ভিডিও)

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০২১ শনিবার

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধামাইল চলতি নদীর পাথর উত্তোলন করছে অসাধু চক্র। প্রভাবশালী পাথরখেকোরা দিনের আলোতেই প্রতিদিন অবাধে লাখ লাখ টাকার পাথর তুলে নিচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আইন শৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় একটি সিন্ডিকেট এ কাজ করছে। 

২০২০ সালের মার্চ থেকে ধামাইল চলতি নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তারপরও এক শ্রেণীর পাথরখেকো প্রকাশ্যে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার পাথর তুলে নিচ্ছে। এই ডলুরার পাশেই দুটি বিজিবির ক্যাম্প থাকলেও থেমে থাকেনি পাথরখেকোদের তৎপরতা। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী কয়েকজনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ৩ থেকে ৪শ’ শ্রমিক দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে। 

স্থানীয় হালুয়ারঘাট বাজারসহ আশপাশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর। মাঝে মধ্যে বিজিবি পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পাথর উত্তোলন।

স্থানীয়রা জানান, ডলুরায় শহীদদের গণকবর রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এই গণকবর ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে ধামাইল চলতি নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসেন। এভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন অব্যাহত থাকলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোও নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশকা রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই এভাবে দিনের বেলা পাথর নিচ্ছে। তারা বালু খুঁড়ে পাথর বের করার কারণে নদীর প্রশস্ততা বেড়ে যাচ্ছে। পাথর তুলেন এমন একজন বলেন, পেটে ভাত না থাকলে কি নিষেধ মানা যাবে। গরীব মানুষ, তাই পাথর তুলে জীবন চালাই।

পাথর ব্যবসায়ী জানান, পাথর কিন্তু আমরা নদীতে কিনি না। মহিলারা বাড়িতে এনে দেয়, আমরা সেখান থেকে কিনি।

আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যদি কেউ অবৈধভাবে কেউ পাথর উত্তোলন করে বা মজুদ করে অথবা বিক্রির পাঁয়তারা করে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

দ্রুত পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। 

ভিডিও-

এএইচ/