ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাসেলস দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার

ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ভার্চুয়ালি পালন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্থানীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানটি ভর্চুয়াল প্লাটর্ফমে আয়োজন করা হয় এবং এটি দূতাবাসের ফেসবুক পেইজেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ খবর জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথমে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সাথে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহর কথোপকথন একটি ভিডিও দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হয়।

কথোপকথনে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অভিজ্ঞতা, স্মৃতি এবং মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ওই কথোপকথনে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রমের বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত সালেহ্ বলেন, আহমেদ যখন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করছিলেন, তখন তিনি মানসচক্ষে জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখতে পাচ্ছিলেন।

বেলজিয়াম ও লুক্সেমর্বাগে বসবাসরত বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ দিবসটির তাৎর্পয র্শীষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল। এ সরকার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বর্হিবিশ্বে যোগাযোগ স্থাপন ও সর্মথন আদায়ের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ মাত্র নয় মাসে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় র্অজন করে।

এছাড়া, বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের গৌরবগাঁথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রদূত সালেহ্ এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্রাসেলসের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত সালেহ্ বলেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ তাঁদের মুখ থেকে ইতিহাসের সত্য ঘটনাগুলোকে পরবর্তী প্রজন্ম এবং বিদেশী বন্ধু তথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার অংশ হিসেবে বিশেষ দিবসগুলোতে দূতাবাস কর্তৃক ইংরেজিতে সরাসরি ধারণকৃত ভিডিও কথোপকথন নিয়মিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, শহিদ চার জাতীয় নেতা এবং ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

এএইচ/