‘কোভিড-১৯ উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিলে উপকৃত হবে বিশ্ববাসী’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার
কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্ব ব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রফতানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়ালি) প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুন্সি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মেডিক্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রিসপন্স ফান্ড’-এর মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসেবে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদান পাবার যোগ্য হবেন। এ অনুদানের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ অনুদান প্রযোজ্য হবে তা হলো প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড যেমন- গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইআরএফ ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের টিম লিডার ডেভ রঙ্গানিকালো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থা প্রধান ও উইং প্রধানরা এবং ওয়াল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ মিসেস হোসনা ফেরদৌস সুমি।
আরকে//