নলছিটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে, আক্রান্ত দেড় শতাধিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নলছিটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালের বেডে জায়গা না থাকায় রোগীরা ঠাঁই নিয়েছেন হাসপাতালের মেঝেসহ আশপাশের বারান্দায়।
হসপিটালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে আইভি স্যালাইনের চরম সংকট।
স্যালাইন সংকটের বিষয়টি নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুনিবুর রহমান জুয়েল উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে অবহিত করা হয়।
রোববার ১৮ এপ্রিল রোববার সকালে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৭২৮ প্যাক আইভি স্যালাইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে'র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুনিবুর রহমান জুয়েল'র হাতে তুলে দেন পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মদ আলী আহমেদ, প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদার, কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম চৌধুরী দুলাল, আবদুল্লাহ আল মামুন লাভলু, মোহম্মদ ফিরোজ আলম, নুরে আলম হাওলাদার ,মোহম্মদ মানিক হাওলাদার, রেজাউল চৌধুরী, দিলরুবা বেগম, নুরুন্নাহার বেগম প্রমুখ।
পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান জানান, গতকাল ডায়রিয়ায় আক্রান্তের খবর শোনার পরেই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন এবং আজ পৌরসভার পক্ষ থেকে ৭২৮ প্যাক আইভি স্যালাইনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মানুষের পাশে থাকার জন্য যা কিছু দরকার পৌরসভার পক্ষ থেকে সাধ্যমত করা হবে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুনিবুর রহমান জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, 'গত কয়েকদিন ধরেই ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে দেখা দেয় চরম স্যালাইন সংকট। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ার কারণে সেবা দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই মুহূর্তে স্যালাইনের সাথে সব থেকে জরুরি দরকার একদল সেচ্ছাসেবক। যারা অন্তত রোগীদের স্যালাইন খোলাসহ সাধারণ কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করতে পারবেন।'
ঝালকাঠির সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, স্যালাইন সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।
নলছিটির উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মহোদয় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য সেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূধীজন।'
কেআই//